দুর্গাপুজোয় “ওদের” মুখেও হাসি ফোটাতে কলকাতা থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে গরীব বাচ্চাদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিলেন নীহারিকা মুখোপাধ্যায়


সোমবার,০৮/১০/২০১৮
519

বাংলা এক্সপ্রেস ---

নদিয়া: সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর অবাধ বিচরণ। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় নেত্রী। সভা-সমাবেশের ব্যস্ততার মাঝেও সেবামূলক কাজে তাঁর জুরি মেলা ভার। আর তাই আজ কলকাতা তো কাল অন্য কোন জেলায় ছুটছেন গরীব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়াতে। এই নেত্রী হলেন উত্তর কলকাতা জেলা মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা নীহারিকা মুখোপাধ্যায়। কেরলের বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করে তুলে দিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের হাতে। যাতে ওই ত্রাণ দ্রুত পৌঁছে যায় প্রকৃত দুর্গতদের হাতে। দিনকয়েক আগেই বউবাজার এর সুবর্ণ বনিক সমাজ হলে দুঃস্থ মেধাবী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্কলারশিপ ও পুজোর নতুন পোশাক। মহালয়ার ঠিক আগের দিন দু’জন সহযোগীকে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন কলকাতা থেকে বহু দূরে চাকদহ ব্লকের শিমুরালির তাঁতিগাছি গ্রামে। সঙ্গে ছিল বেশ কিছু নতুন পোশাক। প্রশান্ত ঘোষ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের অবৈতনিক শিক্ষা কেন্দ্রের গরীব ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিলেন নতুন পোশাক।                                                                         পুজোর আগে নতুন পোশাক পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে ক্ষুদে পড়ুয়ারা। হয়ত এবারের পুজো তাদের কাছে নিরানন্দ হয়ে থাকত নতুন পোশাকের অভাবে। অন্যদের নতুন পোশাক পড়া দেখে শুধু চেয়েই থাকতে হত “ওঁদের”। কারন এইসব ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের এমন সামর্থ নেই সন্তানকে একটা নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার। সেই দুঃখ দূর করলেন নীহারিকা মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই নেত্রী জানালেন, সবার মুখে এই উৎসবে য়াতে আনন্দ থাকে, খুশিতে ভরে ওঠে মন সেই ভাবনা থেকেই এই ছোট্ট প্রয়াস তাঁর। যাঁদের সামর্থ্য আছে প্রত্যেকেই একটু একটু করে সমাজের কথা ভাবলে অনন্ত এই আনন্দের উৎসবে কারও মনে দুঃখ থাকবে না। মহালয়ার দিন বাবুঘাটে মহিলাদের হাতে লালপেড়ে শাড়ি, আলতা, সিঁদুর তুলে দেবেন বলেও জানালেন তিনি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট