দুর্গা পূজার উৎসব মানেই বাংলার ঢাক, ঢাক ছাড়া যেন দুর্গাপূজাই অসমাপ্ত ডিজিটাল যুগ হলে দূর্গা পূজা ঢাক লাগবেই। ঢাকের কাঠি জানিয়ে দেয় পুজো এসে গেছে আর তাই ঢাক সারাইয়ের এর কাজে ব্যস্ত ঢাকিরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের ৫নং গঙ্গারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর এলাকার ঢাকিরা ঢাকের দড়ি টানাতে ব্যস্ত, তেমনই একজন ঢাকি অনিল নট্ট। ছোটবেলায় বাবা মারা গেছে, বাবা ও ঠিক এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আর বাবার সেই পেশাকেই হাতে খড়ি নিয়ে ঢাকে তাল ওঠান। খুব একটা আই না হলেও খেয়ে পড়ে বেঁচে আছেন পরিবার নিয়ে আর তাই একটু লাভের আশায় গ্রাম ছেড়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে বিদেশে কেউ যাচ্ছেন লখনও কেউ যাচ্ছেন মুম্বাই কেউ কেউ আবার যাচ্ছেন শিলিগুড়ি, আসাম, গৌহাটি শহর বিভিন্ন জায়গায়।
গ্রামে বাজালে তিন থেকে চার হাজার টাকা তারা পান কিন্তু অন্য রাজ্যে গেলে তার পরিমাণ ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা হয় আর সেই লাভের জন্যেই তারা ছোটেন বিদেশে। অনিল নট্ট জানান সরকারি সেই ধরনের কোন সাহায্যই আজও প্রযন্ত পাইনি কিন্তু মমতা ব্যানার্জি সরকার আসার পর শিল্পী কার্ড করে দেওয়ার কথা জানালেন এখনও পর্যন্ত পাইনি। হয়তো সরকারি সাহায্য পেলে ভালো হতো সকলের। এই গ্রামেই রয়েছে ১০০ থেকে ২০০ ঘর নট্ট পরিবার তারা আজ জাতিগত ব্যবসা ভুলে গিয়ে অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তার কারণ একটাই ঠিকমতো পারিশ্রমিকের অভাব।