পশ্চিম মেদিনীপুর: নারায়ণগড় ব্লক এর ১৫নং কুশবসান অঞ্চল।বেশ কয়েক শ হেক্টর জমিতে চাষ হতো না দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছরের অধিক সময় ধরে।অবশেষে সেই বাধা কাটিয়ে মানবিকতার নজির গড়লো একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি।নাম অনুকুল সাউ।বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব অনুকূল সাউয়ের আর্থিক সহায়তায় কুশবসান অঞ্চলের শান গণুয়াতে তৈরি হলো কেলেঘাই নদী পর্যন্ত ক্যানেল সিস্টেমের।খুশি এলাকাবাসী থেকে কয়েকশো কৃষিজীবী।প্রসঙ্গত প্রায় ৪০০ হেক্টর জমি জলাজমির মত থাকার কারণে চাষাবাদ হতো না।সেই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে চাষাবাদ শুরু হলো নতুন করে।কেলেঘাই নদীর পাড়ে প্রায় ৭০০ একর কৃষি জমি।এলাকাবাসীদের দাবি যার আকৃতি ছিল গামলার মতো। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে চাষাবাদ করা যেত না নিচু জমি গুলোতে।গণুয়া গ্রামের বাসিন্দা কল্পনা পাল জানিয়েছেন-“প্রায় কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় চাষাবাদ হতো না।বেশিরভাগ সময় নিচু হওয়ার কারণে জল জমে থাকত।
গ্রামের বাসিন্দা অনুকূল সাউয়ের সহযোগিতায় আমরা চাষাবাদ করতে পারছি।আমরা খুব খুশি চাষাবাদ করতে পেরে।”ওই বিশিষ্ট ব্যক্তি অনুকূল সাউয়ের মতে-“চাষীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাতে কেলেঘাই নদীর তে লকগেট তৈরি করেন তাতে সাধারণ কৃষিজীবীরা উপকৃত হবেন।”এখন আমন ধানের মরশুম দীর্ঘ চল্লিশ বছর চাষ না করতে পেরে মনমরা কৃষকরা কিছুটা হলেও স্বস্তির হাসি হেসেছেন। স্থানীয় কৃষিজীবী ভাস্কর পন্ডিত জানিয়েছেন-“আমার জন্ম কাল থেকে আজ অব্দি দেখে আসছি কোন ধরনের চাষাবাদ হয় না।প্রায় এক গলা পর্যন্ত জল জমা থাকত জমি গুলিতে।স্থানীয় অনুকূল বাবুর সহায়তায় আজকে আমন ধান চাষ করতে পেরে আমরা খুশি।”অনুকূল সাউয়ের এর মতে-“একদিন পরিবারসহ ঘুরতে গিয়ে দেখে জল জমা রয়েছে।তাদের কথা মাথায় রেখে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে প্রায় এক কিলোমিটারের উপরে একটি ক্যানেল সংস্কার করি।”বহু প্রতিক্ষার পর নিচু জমিতে চাষাবাদ করতে পেরে খুশি স্থানীয় কৃষিজীবীরা। সরকারি সাহায্যের আরো সংস্কার হোক এই ক্যানেলটি।