দলাদলি ভুলে ঐক্যের বার্তা; রাসমনি বাড়ির দুর্গাপুজোর আমন্ত্রণ এবার মোদি,মমতা,রাহুল,সোনিয়াকেও


সোমবার,০১/১০/২০১৮
732

বাংলা এক্সপ্রেস---

কলকাতা: পুরনো ঐতিহ্য রক্ষায় আবারও সমাজের বিশিষ্টজনেদের আমন্ত্রণ জানানোর ভাবনা। একসময় দেশ-বিদেশের গুনীজনেরা সমৃদ্ধ করতেন রাসমনি বাড়ির দুর্গাপুজোর আয়োজনকে। এবছর দেশের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব- সকলকেই বালিগঞ্জে রাসমনি বাড়ির পুজোই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। রানি রাসমনির বর্তমান বংশধর শ্যামলী দাসের ইচ্ছা পূরণে এখন আমন্ত্রণ পত্র তৈরীতে ব্যস্ত অতীন্দ্রনাথ দাস এস্টেটের ম্যানেজার সঞ্জয় ডাইমা। কথায় কথায় শ্যামলী দাস জানালেন, আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের। আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হবে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীদের। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিতে চান তিনি। দলাদলি ভুলে সবাই একসাথে মায়ের কাছে আসুন, ভারতবাসীর মঙ্গল কামনা করুন সবাই।

রাসমনি ভবনের দুর্গাপুজোর ইতিহাস বহু প্রাচীণ। একসময় জানবাজারের জমিদার বাড়িতে এই দুর্গাপুজোর সময় চাঁদের হাট বসত। মাস দুয়েক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত পুজোর আয়োজন। আর মহালয়া থেকেই আত্মীয় স্বজনের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠন রাজবাড়ি। সমাজের বিশিষ্টজনেরা অংশ নিতেন পুজোর অনুষ্ঠানে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অতিথি-অভ্যগতরা আমন্ত্রীত থাকতেন। পরবর্তীতে সেই ঐতিহ্য ফিকে হতে থাকে। জানবাজারের পুজো উঠে আসে বালিগঞ্জের রাসমনি ভবনে। ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোকে আবারও সেই আগের মত করে আয়োজনের উদ্যোগ শুরু হয়। কয়েকশো বছরের পুরনো পুজোর গরিমা ফিরতে থাকে। রানি রাসমনির বর্তমান বংশধর শ্যামলী দাস পুরনো স্মৃতি হাতড়ে বলেন, প্রথমে মায়ের পুজো হতো জানবাজারে।

পরিবর্তীতে তা উঠে আসে বালিগঞ্জে। তাও প্রায় আড়াশো বছর। আজও পুরনো সেই গরিমা অটল। আকারে ছোট হলেও খামতি নেই ভাবনায়। বর্তমানে রানিমা শ্যামলী দাস একাগ্রতা দিয়ে এই পুজোর আয়োজন করে আসছেন। পুজোর কটা দিন রাসমনি ভবন যেন ফিরে যাই সেই অতীতে। দর্শনার্থীরা কেউ যেন খালি মুখে না যান সে দিকে নজর থেকে রানিমার। প্রত্যেকের জন্যই আয়োজন থাকে ভোগের। শ্যামলী দাস জানালেন, এমন অনেক বছরে এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল মায়ের পুজোর আয়োজনের খরচ কোথা থেকে আসবে তা নিয়ে। কিন্তু ঠিক অর্থ জোগাড় হয়ে যায়। রানিমার কথায়, মায়ের খরচ মা’ই জোগাড় করে দেন।
রানি মা’র আহ্বান: জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে আসুন দুর্গোৎসবে রাসমনি ভবনে। রাজনৈতিক দলাদলি নয়, সব রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাই

একযোগে পুজোর দিন গুলিতে মিলিত হোন এক সাথে। রাসমনি ভবনে এসে পুজোর ভোগ গ্রহন করুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পুজোয় রাসমনি ভবনে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বলে জানান শ্যামলী দেবী। তাঁর কথায়, দুর্গাপুজো মিলনের উৎসব। সমস্ত বিভেদ ভুলে এক হতে হবে। বাংলার যাতে ভাল হয়, দেশের যাতে ভাল হয়, মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে তার লক্ষ্যেই এক হতে হবে সকলের। রাজনীতি ভেদাভেদ ভুলে পুজোয় সংকল্প নিতে হবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তবেই সব প্রয়াস স্বার্থক হবে। বললেন অতীন্দ্রনাথ দাস এস্টেটের প্রধান রানি রাসমনির নাত বউ শ্যামলী দাস।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট