কলকাতা: পরপর দুটো বনধ। ইস্যু আলাদা। দুটোই রাজ্যের বিরোধী দলগুলির আহুত। প্রথমটা পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে বাম-কংগ্রেসের ডাকে। আর দ্বিতীয় বনধ বিজেপির ডাকে ইসলামপুর কান্ডের প্রতিবাদে। প্রথম বনধে জনজীবনে প্রভাব লেশমাত্র দেখা যায়নি। অন্যদিকে দ্বিতীয় বনধের প্রভাব ছিল অনেকটাই। বনধ ঘিরে ছিল উত্তেজনা। যাত্রীবাহী বাসে ভাঙচুর, আগুন সব ঘটনায় ঘটে। বনধ রুখতে পথে দেখা যায় শাসককেও। গেরুয়া শিবিরের বনধ ঘিরে যে প্রভাব রাজ্যের মাটিতে পড়েছে তা ছিটেফোঁটাও বাম-কংগ্রেসের ডাকা বনধে পড়ল না কেন ? মানুষোর এই নিঃস্পৃহতা নিয়ে এবার পর্যালোচনা শুরু হল আলিমুদ্দিনের অন্দরে।মুখে স্বীকার না করলেও রাজ্য-রাজনীতিতে তারা যে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন আলিমুদ্দিনের আড়ালে আবডালে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নতুন কোন কেন্দ্র পুনরুদ্ধার তো দূরের কথা,২০১৪-র লোকসভা ভোটে জেতা রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ নিজেদের দখলে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান খোদ আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররাই। বিশেষ করে ইসলামপুর কান্ডে বিজেপি যেভাবে উঠেপড়ে আসরে নেমেছে তাতে করে রায়গঞ্জ নিয়ে সিপিএমের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার দিল্লিতে সিপিএম পলিটব্যুরোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৬ থেকে ৮ অক্টোবর বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক।
সূত্রের খবর, ‘১৯- এর ভোটে বাংলার মাটিতে কিভাবে নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখা যায় তা নিয়ে তা নিয়ে পর্যালোচনা হবে ওই বৈঠকে। আলোচনা হবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয় নিয়েও। সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেড কোন পথে বিজেপির রাজনৈতিক জমি দখল প্রতিরোধ করে সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।