দক্ষিণ দিনাজপুর: জমিদার আজ নেই জমিদারি প্রথাও আজ বিলীন হয়ে গেছে। তবে জমিদারের সেই পুজো আজ ও আছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের মনোহলি গ্রামে প্লাস্টার খসে ইট বার হয়ে পড়া বড় বড় থাম বিরাট দালান বাড়ি প্রায় ভগ্নদশা। তাতে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে দেবী বন্দনার ছোঁয়া। পদ্ম শালুক কাশ ফুলের হাওয়ায় দুলে কচিকাচারা আনন্দে মেতে ওঠে জীর্ণ দালান কোঠার নীচে খড়ের কাঠামো থেকে ধীরে ধীরে দেবী-রূপের দৃশ্য হয়ে ওঠার সাক্ষী থাকতো। এই সময় সারা বছরের নিস্তব্ধতা কেটে বালক বালিকার ভিড়ে সরগরম হয়ে ওঠে জমিদার বাড়ির চত্বর। একদা জমিদার বাড়ির পুজো আজ সর্বজনীনে পরিণত হয়ে এ বার ১১৮ বছরে পা রাখল।
১২৯৭ সালে 64 হাজার টাকা দিয়ে, বাংলার বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে, তারাচাঁদ বন্দোপাধ্যায় মনো হোলি জমিদার বাড়ি তৈরি করেন।তারপর সেই পরিবারেই
সদস্য যোগেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯২ সালে পারিবারিক দুর্গাপুজো চালু করেন। তারপর প্রতি বছর জমজমাট পূণ ভাবে সেখানে পূজো হত।
জমিদারি চলে যাওয়ার পর পরবর্তী প্রজন্ম ভিন দেশে চলে যান। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যায় এলাকার একমাত্র এই প্রাচীন পুজো। মুখভার হয়ে পড়ে কচিকাঁচাদের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে আসেন বাসিন্দারা। প্রস্তুতি থেকে আয়োজনের সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে নেন। এরপরই বারোয়ারী পুজোতে পরিণত হয় মনোহলির জমিদার বাড়ির পুজো।
২০১০ সালের থেকে জমিদার বাড়ির পুজো, এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা করতে শুরু করেন। বর্তমানে সেখানে জমিদার বাড়ির পুজো সার্বজনীনভাবে, জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হয়।