আগরতলার, ত্রিপুরা: একেই বলে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। যদিও এই রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ভুরি ভুরি। প্রকাশ্যে ডাইনি অপবাদ দিয়ে খুন হ্বার, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে হাত-পা বেঁধে মহিলাকে নির্যাতন- এই ধরনের ঘটনা আকছার ঘটছে। মানিক আমল থেকে বিপ্লব আমল একই চিত্র ত্রিপুরা, আর মাথাভারি মহিলা কমিশন এলাকা ঘুরে এসে বিবৃতি প্রচার করে দায়িত্ব খালাসছে। ঘটনাগুলাের বিরুদ্ধে জোরালাে প্রতিবাদ জানানাে কিংবা দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে মহিলা কমিশনের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করার প্রয়ােজন বাস্তবে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না। আর কমিশন ঘুমিয়ে থাকার কারণে এবং রাজ্যের নারী সংগঠনগুলো নির্বাচন নির্ভর হওয়ার কারণে এই ধরনের কলঙ্কজনক ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এই গ্রাম্য সালিশি সভায় বিচারকদের মধ্যে থাকছেন স্থানীয় শাসক দলের চুনােপুটি নেতা ও নেত্রীরা।
গ্রামে বিচারের নামেয়া-রায় দেবেহরা। গ্রামের লােকজনদের সেটাই মাথা পেতে নিতে হবে, এটাই হলো অঘােষিত নিয়ম। গ্রাম্য সালিশি বিচারের নামে এই মহিলাকে প্রকাশ্যে জুতােপেটা করে এবং জুতাের মালা পরিয়ে খুটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এই ঘটনায় বাজো মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার এক মাসখানিক আগে সাব্রুমে এক গৃহবধূ যখন সালিশি সভায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন, গতকাল রাজ্যের অন্যপ্রান্ত অমর পুরে অপর এক মহিলাকে গাছে বেঁধে, জুতাের মালা পরিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে সমাজের তথাকথিত মাতব্বররা।
মানিক আমল থেকে বিপ্লব আমল একই চিত্র ত্রিপুরা, বিপ্লবের আমলে কি সঠিক বিচার পাবে, এটাই দেখার?