পশ্চিম মেদিনীপুর:- বুধবার সন্ধ্যায় খুন হওয়া ব্যবসায়ীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে । বুধবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বন্ধের একেবারে শেষ বেলায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খাজরা বাজারের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বছর পঞ্চাশের বিভূতি রঞ্জন দাস । আশঙ্কাজনক অবস্থায় হসপিটালে নিয়ে আসার পথেই মারা যান বিভূতি রঞ্জন দাস । পরিবার সূত্রে খবর , এলাকায় তৃণমূল নেতা নামে পরিচিত ভূসন পুষ্টির একটি পানের দোকান ভাড়া নিয়ে চালাতেন বিভূতি রঞ্জন দাস । বন্ধের কারণে সকাল থেকেই দোকান বন্ধ ছিল বিভূতি রঞ্জন বাবুর । এলাকায় ততক্ষনে একদল দুষ্কৃতী এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছিল বলে সূত্রের খবর । বন্ধের শেষে দোকান খুলতে গেলে তার দোকানের সামনেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে লুটিয়ে পড়েন নিহত ব্যবসায়ী । প্রথমে খড়গপুর মহকুমা হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থার গুরুত্ব বুঝে তৎক্ষণাৎ তাকে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে। পথেই মৃত্যু হয় ব্যবসায়ীর ।
বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত হবে মৃত বিভূতি রঞ্জন দাসের । এরপর এই রাজনৈতিক রঙ লাগাতে তৎপর হয়ে পড়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস । হসপিটালে এসে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি রীতিমত দাবি করেন মৃত বিভূতি রঞ্জন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন । এর পরেই রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বৃহস্পতিবারই কেশিয়াড়ি যাবেন সুব্রত বক্সি ।ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবারই মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করে কালা দিবস’ পালন করবে জেলা তৃণমূল । অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতির দাবি ঘটনার পিছনে বিজেপির কোন হাত নেই । ঘটনার পর থেকেই কেশিয়াড়ি খাজরা বাজার থমথমে । বন্ধ দোকানপাট ।এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও জন্মাচ্ছে ক্ষোভ।ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ ।বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার থেকে কার্তুজের খোল উদ্ধারের পাশাপাশি দোষীদের চিহ্নিত করতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ । অপরদিকে মৃতদেহর দখল নিতে যে রাজনৈতিক তৎপরতা জেলায় দেখা যাচ্ছে তা নিয়ে কিন্তু রীতিমত সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল । এই নাটকের অবসান ঠিক কোথায় হয় সেটাই কিন্তু দেখার বিষয় ।