পশ্চিম মেদিনীপুর : বিজেপির ডাকে বাংলা বনধের দিনে কেশিয়াড়ি থানার অন্তর্গত খাজরা গ্রামে দুস্কৃতিকারীদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারান এলাকার তৃণমূল কর্মী বিভুরঞ্জন দাস (৪০)। গতকাল রাতে এই খবর পাওয়ার পর আজ কোলকাতা থেকে মেদিনীপুরে ছুটে এলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী। তিনি আজ কোলকাতা থেকে সোজা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন। সেখানে মৃত তৃণমূল কর্মীর ময়না তদন্তের পর তাঁর মরদেহে মাল্যদান করেন সুব্রত বাবু। ছিলেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি সহ আন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। মাল্যদানের পাশাপাশি সুব্রত বাবু বিভুরঞ্জন দাসের পরিবারের লোকেদের সমবেদনা জানান। এরপর মৃত কর্মীর দেহ নিয়ে মিছিল করে কেশিয়াড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
মিছিলের আগে তিনি সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে বলেন, একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জননেত্রী বিভিন্ন রকম উন্নয়নের মাধ্যমে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে আর অপরদিকে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা না করতে পেরে কখনও কখনও তাদের ক্ষমতার বলে অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কখনও কখনও রাজনৈতিক মোকাবিলার নামে, নিজের পায়ের মাটি হারিয়ে এই খুনের রাজনীতি নতুন করে বাংলায় আমদানীর চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি সারা রাজ্যের সাড়ে ৯ কোটি মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের মাধ্যমে যেভাবে এককাট্টা করে রেখেছে, সেটাকে ভাঙাও যাবেনা।
আবার এটাও মনে করি রাজ্যের মানুষ সুযোগ পেলে খুব শীঘ্রই সেই সুযোগ আসতে চলেছে, মানুষ ঐ কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। ভারতবর্ষ জুড়ে গুন্ডামির কথা বলা হচ্ছে। কারা গুন্ডামি করছে সারা ভারতবর্ষের মানুষ দেখছেন, এরাজ্যের মানুষও দেখছেন। বাংলার মানুষ এই ধরনের রাজনীতিতে অভ্যস্ত নয়। অতিতেও তারা দেখেছেন, তার যোগ্য জবাব দিয়েছেন। আগামীদিনেও দিলীপ বাবু কেন, তাঁর যে মহান পুরুষেরা আছে তারাও টের পাবেন যে বাংলা তথা ভারতবর্ষের মানুষ শান্তির বাতাবরনে থাকতে চায়, কোনো সন্ত্রাস বা কোনো খুনের রাজনীতির মধ্যে থাকতে চায়না।