ফরাক্কাঃ– ফরাক্কার হোসেনপুর ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন ছাত্র, মাষ্টার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ছাত্র ও মাষ্টারেরা বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে চাল, ডাল ও সব্জি সংগ্রহ করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ভাঙ্গন কবলিত মানুষদের দিকে। সরকারি ভাবে দুবেলা সামান্য খাবার ও খোলা আকাশের নীচে থাকার জন্য পেয়েছে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাশে এসে দাঁড়ালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি সাহায্য করলেন ডেঙ্গীর হাত থেকে বাঁচার জন্য মশারি।
উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন ধরে ভাঙনের জেরে ফরাক্কার হোসেনপুরে গঙ্গায় তলিয়ে গেছে প্রায় ৫০টির ও বেশি বসত বাড়ি। গঙ্গার জলস্তর বাড়ায় ওই এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয় গত একমাস ধরে। মাঝে মধ্যে ভাঙনের মাত্রা এতো বেড়ে যায় যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২০-৩০টি বাড়ি তলিয়ে যায় গঙ্গায়। এখনও বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে বেশ কিছু বাড়ি। যোগাযোগের রাস্তা, বাগান, স্থানীয় একটি দুর্গা মন্দিরও জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। বেনিয়াগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর, নয়নসুখ, কুলিদিয়ার গ্রামে ভাঙনের প্রবণতা বেশি।
বারবার চেষ্টা করে দুর্গতদের সাহায্যের জন্য এলাকায় পৌঁছেছেন প্রশাসনের কর্তারা। অনেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন ত্রিপলের নিচে। কিছু এলাকা জলের তলায় চলে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। আশ্রয় হীন পরিবারগুলিকে একটি ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনিক কর্তাদের বলা হলেও ভাঙন রোধে কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় আজ এতগুলি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে বলে তারা জানান। প্রশাসনের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন।