মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্যাসিস্ট-রঞ্জিত হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত:মুকুল রায়


রবিবার,২৩/০৯/২০১৮
1223

বাংলা এক্সপ্রেস---

উত্তর দিনাজপুর: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্যাসিস্ট, তাঁর হাতে ছাত্র সমাজে গুলি হয়েছে। রক্তে রঞ্জিত হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত। তাঁদের আর কোনও নৈতিক অধিকার নেয় সরকারে থাকার।” ইসলামপুরের দাঁড়িভিটেয় এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রবিবার বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এক প্রতিনিধি দল ইসলামপুরের দাঁড়িভিটেয় আসেন। রাজেশ ও তাপস বর্মনের বাড়িতে যান তাঁরা। মৃত দুই ছাত্রের পরিজনদের সাথে কথা বলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন তাপসের বাড়িতে দাঁড়িয়ে মুকুল রায় প্রশ্ন তুলে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ সুপার বলছেন পুলিশ গুলি চালায় নি। যদি পুলিশ গুলি না ই চালিয়ে থাকে তবে গুলি চালালো কে? যারা গুলি চালালো তাদের শাস্তি দিতে হবে বলে দাবী করেন মুকুল বাবু।

এদিকে তাপস বর্মনের বাড়িতে বসে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ছাত্রদের যখন মুখ বন্ধ করে গুলি করা হয় তখন বুঝতে হবে এই সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, কোনও মায়ের কোল এইভাবে খালি হতে পারেনা। বহিরাগত প্রমান করুক সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পুলিশকে বাঁচানোর জন্য একথা বলছেন। রাজ্য সরকারের কোনও সহযোগিতা চায় না আমরা। এইসব তদন্ত করে কিছু হবেনা। যে পুলিশ গুলি চালিয়েছে তাঁরা কখনও নিজেদের তদন্ত করবে? সিবিআই তদন্তের জন্য পরিবারের সকলে আদালতে যাবে। আমরা তাঁদের পাশে আছি বলে মন্তব্য করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই দাঁড়িভিট গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, রাতের অন্ধকারে পুলিশ অত্যাচার করছে তাঁদের উপর। এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল বাবু বলেন, গ্রামবাসীদের ঘর ভাঙছে, ছেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

আমরা কালই রাজ্যপালের সাথে দেখা করব। সঠিক বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য ভারতবর্ষের যেই প্রান্তে যেতে হয় আমরা যাবো। এদিকে শনিবার দিনই দুই ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ঠ্যাঙাপাড়ার জনসভা থেকে একথা ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপরেই মিলান থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোনও বনধ হবেনা। বনধের কোনও প্রশ্নই নেই। প্রশাসনকে সক্রিয় হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন ইসলামপুরে বনধের প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, হিটলারের মতন আচরণ করছে মমতা। দুই ছাত্র মারা গিয়েছে। কোন রাজনৈতিক দল কীভাবে প্রতিবাদ করবে সেটা সেই রাজনৈতিক দলের ব্যাপার। উঁনি গণতন্ত্রকে আর মানেন না। তাই অগণতান্ত্রিক মন্তব্য করছেন। রবিবার সকালে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রতাপ ব্যানার্জি ইসলামপুরে এসে পৌঁছান। শনিবার রাতেই এলাকায় হাজির হয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। দাঁড়িভিট গ্রামে পৌঁছেই বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধি দলটি রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের বাড়ি যান। পরিজনদের সাথে কথা বলেন তাঁরা। এদিকে বিজেপি নেতৃত্বকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই ছাত্রের পরিজনেরা। সিবিআই তদন্তের দাবী জানান তাঁরা।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট