কলকাতা: বাগড়ি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আগুনি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবারও মার্কেটের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান এই অগ্নিকান্ডে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার ভোররাতে অগুন লাগে। ভোর আড়াইটে নাগাদ খবর পৌঁছায় দমকল বাহিনীর কাছে। তারপর থেকে টানা যুদ্ধ চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। সোমবার মধ্য রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে এত সময় কেন লাগল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। একই প্রশ্ন তুললেন রানি রাসমনি পরিবারের বর্তমান বংশধর তথা রানি রাসমনির নাত বউ শ্যামলী দাস।
এই নিয়ে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি। সোমবার রাত থেকেই তৎপর হয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তাকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যাবস্থা গ্রহনের আর্জি জানান শ্যামলী দাস। প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও যোগাযোগ করে দ্রুত আগুন নেভাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেতে বলেন আধিকারিকদের। শ্যামলীদেবী এদিন বলেন, সেনাবাহিনীর সাহায্য নিলে অনেক আগেই আগুন নেভানো সম্ভপর হত। কিন্তু রাজ্য সরকার না করায় অনেক দেরি হয়ে গেল। বেড়ে গেল ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও। তবে দমকল বাহিনী যে ভাবে সাহাসিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন তার প্রশংসাও করেন তিনি। শ্যামলী দাস বলেন, এই বড়বাজার এলাকা রাসমনির জমিদারি এলাকার মধ্যেই ছিল। এই বিপদের সময় রাজনীতি দূরে সরিয়ে কাজ করতে হবে সকলকে একসঙ্গে। কে বিজেপি, কে তৃণমূল এখন এসব দেখার সময় নয়। মানুষকে রক্ষা করতে হবে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। রানি রাসমনি এই শিক্ষায় দিয়ে গিয়েছেন সকলকে একসঙ্গে চলার।