উন্নয়নের সেরা উদাহরণ হুগলী জেলার জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রাজবলহাট ১ নং পঞ্চায়েত


শনিবার,১৫/০৯/২০১৮
1515

সুমন করাতি---

হুগলী: কাজ করার মানসিকতা থাকলে যে কোনো কাজ কে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায়। কাজ করার পরিবেশ তৈরি করলে তাতে কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্মল বাংলা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে তাই সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পঞ্চায়েত অফিস। গ্রামের শেষ প্রান্তে দামোদর নদীর কাছেই রয়েছে রাজবলহাট 1 নং পঞ্চায়েত। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে একটি ঝাঁ চকচকে ফাইভ স্টার হোটেল। শীততাপ নিয়ন্ত্রণত্রিত এই পঞ্চায়েতের ভিতরে মার্বেল দিয়ে বাঁধানো সিঁড়ি।দেওয়ালে রঙিন আলো লাগানো।ভিতরে রয়েছে বসার পর্ষাপ্ত গদি দেওয়া সোফা কাম বেড।পানীয় জলের ফিল্টার মেশিন ও আধুনিক ডিজাইনে তৈরি শৈচালয়।ভিতরে একটি কনফারেন্স রুম।সিলিংএ রয়েছে বাহারি আলো লাগানো।পাশেই একটি অতিথিদের বসার জন্য ড্রয়িং রুম ও দুই শষ্যা বিশিষ্ট একটি শোয়ার ঘর।খাটে রাখা হয়েছে মাথার বালিশ।

2013 সালে জাঙ্গিপাড়া ব্লকের এই পঞ্চায়েত তৃনমূল দখল করে। তারপর থেকেই আস্তে আস্তে তৈরি হয়েছে বিশালাকার এই পঞ্চায়েত ভবন।14 জন সদস্য নিয়ে গঠিত এই রাজবলহাট 1 নং পঞ্চায়েত। লোকসংখ্যা রয়েছে 11,983 জন।তপশিলী জাতি, সংখ্যালঘু ও সাধারন মানুষের বাস এই গ্রামগুলিতে।2015 সালে পুরাতন পঞ্চায়েত এর গাঘেঁষে তৈরি শুরু হয়েছে নতুন ভবন তৈরির কাজ।60 লক্ষ টাকা ব্যায়ে তৈরি হয়েছে এই ভবনটি। 27 শে ফেব্রয়ারী 2016 সালে এই ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এলাকার সাংসদ কল্যান বন্দোপাধ্যায় ও বিধায়ক স্নেহাশীষ রায়। ভবন তৈরির টাকার উৎস নিয়ে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সদন ঘোষ বলেন,ত্রিস্তর পঞ্চায়েতিরাজ নিয়ম অনুযায়ী বছরে সরকারি অনুদান 16 লক্ষ 33 হাজার টাকা ও MGNRGA কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চায়েতের উন্নয়নের জন্য 10 লক্ষ টাকা সেবা কেন্দ্রের অনুদানের টাকায় তৈরি হয়েছে এই ভবন।

এছাড়া আর্থিক বছরে 100 দিনের কাজের ভিত্তিতে পঞ্চায়েতের উন্নয়নের জন্য 2% টাকা Contingency ফান্ডে Incentive পাওয়া গেছে।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সেই টাকা দিয়ে পঞ্চায়েতের Decorations এর কাজ করা হয়েছে।এই কাজের পুরোটাই অডিট রিপোর্ট করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জলপ্রকল্প তৈরির কাজ।গ্রামীন হাট, ফ্লাড সেন্টার, স্বনির্ভরগোষ্টীর ট্রেনিং সেন্টার, শ্বশানে ইলেকট্রিক চুল্লির কাজ শেষ।এই পঞ্চায়েতের তৈরি হয়েছে কুলিয়াড়া মডেল গ্রাম।100 দিনের প্রকল্পে গ্রামের 90% রাস্তা তৈরির কাজ শেষ।বসানো হয়েছে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের বাতি স্তম্ভ। গ্রামবাসীদের দাবি, নতুন এই শীততাপ পঞ্চায়েত ভবন তৈরি হওয়ায় বেড়েছে কাজের পরিবেশ। বিশেষ করে আগে গরমের দিনে কষ্ট করে পঞ্চায়েতে আসতে ভালো লাগতো না। এখন ঝাঁ চকচকে পঞ্চায়েতে আসতে ভালো লাগে। বিশেষ করে মহিলারা আরো বেশি পঞ্চায়েতমুখী হয়েছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট