উত্তর দিনাজপুর: বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গুতে যাতে কোনমানুষ আক্রান্ত না হয় এবং শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মশা মাছিরউপদ্রপ থেকে সাধারন মানুষরা রেহাই পায় তার জন্য যুদ্ধ কালীন তৎপরতার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে কামানের গোলা ছোড়া হচ্ছে জোর কদমে শহর জুড়ে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোন জঙ্গলে হয়তো বা কোন জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে আর তাদের কব্জা করতে সি আর পিএফ এর জোয়ানরা জোরদার লড়াইচালিয়ে যাছে কিন্তু না এখানে জঙ্গির পরবর্তীতে মশা ,মাছির সঙ্গে লড়াই করা হচ্ছে সেই কামান দিয়ে।১ থেকে ১৭ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মুহুমুহু কামানের গোলার আওয়াজ শোনা যাছে ।
সকাল থেকে দুপুর যখনই যেদিকে তাকানো যাবে পৌরসভার একটি দল মশা মারার কামান নিয়ে কোথাও জঙ্গলে ঢুকেগিয়ে ,কোথাও বা আবার ড্রেনের মধ্য, কোথাও বা আবার কারোবাড়িতে ঢুকে সরাসরি কামান চালিয়ে দিচ্ছে। সে কি লড়াই নিমিষের মধ্যে সাদা ধুয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারিদিক। তবে এই ধুয় তেএকটাই স্বস্তির কথা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই সেই কোটি কোটি জঙ্গি মশারা প্রান মারা যাচ্ছে নিমিষের মধ্যে।ধ্বংস হচ্ছে কোটি কোটি মশা ও মাছির বংশবিস্তার এর জায়গাগুলি।আর এতে ভীষণ খুশি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নাগরিকরা।
স্বয়ংকালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতিকার্তিক পাল নিজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই অপারেশন মসকুইটো নিধান এনেতৃত্ব দিচ্ছেন,কার্তিক পাল বলেনপৌরপতি হিসাবে তার অনেক দায়িত্বশহরের নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দ আছেনকী না তা দেখার। আর সেই চাহিদারকথা মাথায় রেখে তার মিশনঅপারেশন মসকিউটো নিধন।তারএকটাই বক্তব্য করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে,এতে জিততেই হবে পিছু হটারকোনো প্রশ্ন নেই,এই অপারেশনেমশা মাছির সঙ্গে কোন আপোস করাহবে না কোন অবস্থাতেই
তাই কামান দাগানোর পাশাপাশি সবজায়গায় দেওয়া হচ্ছে বিভিন্নকীটনাশক ওষুধ ও । যাতে আরতারা শহরে যেখানে সেখানে বাসাবাঁধতে না পারে। পৌরপতি জানানরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরঅনুপ্রেরণায় চারদিকে যেভাবেস্বচ্ছতার নির্মল বাংলা গড়া হচ্ছেতাতে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা পিছিয়েনেই। শহরকে সুন্দর ভাবে সাজাতে ও শহরের বাসিন্দাদের স্বাছন্দে রাখতেনির্মল কালিয়াগঞ্জ শহর গড়ে তোলারএখন তার প্রধান লক্ষ্য। এখানেমশা-মাছির কোন স্থান নেই। তাইযুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে সব ধ্বংসকরে দেয়া হচ্ছে ।এদিকে শহরজুড়েমশা-মাছির বিরুদ্ধে যেভাবে যুদ্ধশুরু হয়েছে তাতে খুশি শহরেরবাসিন্দারা।
তাদের বক্তব্য যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবার শহরেরআপডেট তুরুন পৌরপতি হয়েছেযার পক্ষে এত কিছু করা সম্ভব।শহরের বাসিন্দারা বলছেন আগে যতগুলো পৌরপতি কালিয়াগঞ্জশহরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তারাসবাই শহরকে ৩০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। বিগত দিনে মশা রোগের পাদুর্ভাব এ মানুষ জর্জরিত হয়েউঠেছিলেন। তখন আজকের মতো পৌরসভাকে তৎপরতা গ্রহণ করতে লক্ষ্য করা যায়নিযেভাবে বর্তমানে হচ্ছে। তাই সবাই বলছে ওই চুপ যুদ্ধ চলছে কালিয়াগঞ্জে।