অপ্রতিরোধ্য ইংল্যান্ড


সোমবার,১০/০৯/২০১৮
767

রাকিবুল---

সময়টা দারুন যাচ্ছে ইংল্যান্ডের জন্য। ঘরের মাঠে প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিপুল জয় পাওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ড্র করার পর ভারতকে হারান; ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের আগে তারা নিজেদেরকে দারুন ভাবে তৈরী করে নিল এবং ইংল্যান্ড ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পাওয়ার সবথেকে বেশি দাবিদার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর, ভারতের বিরুদ্ধে তাদেরকে প্রথম দিকে সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমান ভারতের চাইনাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদবের বিরুদ্ধে প্রথম দিকে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা প্রবল সমস্যার মুখে পড়ে এবং তারা টি২০ সিরিজ হারে ২-১ এ।

একদিনের সিরিজ থেকে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে। যদিও প্রথম একদিনের ম্যাচ এ তারা কুলদীপ যাদবের স্পিন আক্রমণ ঠেকাতে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যার্থ হয় এবং কুলদীপ যাদব ঐ ম্যাচে ৬ উইকেট পায় ও ভারত বিপুল ভাবে জেতে। কিন্তু তার পর থেকে ইংল্যান্ডকে আর পিছনের দিকে তাকাতে হয়নি। এরপরের পরের দুটো একদিনের ম্যাচ জিতে তারা একদিনের সিরিজ জিতে নেয়। এই দুটো ম্যাচেই ইংল্যান্ডের সহ অধিনায়ক ও টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট শতরান করেন।
একদিনের সিরিজ জেতার পর পাঁচটি পাঁচ দিনের টেস্ট শুরু হয়। সুতরাং একদিনের সিরিজ জেতার পর ইংল্যান্ড অনেক আত্মবিশ্বাসের সাথে ইংল্যান্ড ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামে। প্রথম ম্যাচটি ছিল ব্রিমিঙ্ঘামে। এই মাচে ইংল্যান্ড প্রথম ব্যাট করে ২৮৭ রান তোলে জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২৭৪ রান করে। সুতরাং ভারত ইংল্যান্ডের থেকে ১৩ রান পিছিয়ে থাকে। পরে এই ১৩ রানই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। প্রথমে ওপেনার অ্যালিস্টার কুককে ফেরান স্পিনার অশ্বিন।

এর পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক রুট ও জেন্নিংস কিন্তু জেন্নিংস বাক্তিগত ৮ রানের মাথায় আউট হন রুট ও আর বেশিক্ষন টিকতে পারলেন না রুটও ১৪ রানে আউট হয়ে যান। এর পর ম্যাচের হাল ধরেন জনি বেইস্টো ও মালান। এরা দুজনে মিলে এক ইংল্যান্ড কে এক বড় রানের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু দলের স্কোর যখন ৮৭ তখন ৭ উইকেট পড়ে যায়। এর পর স্যাম কারেনের ঝড়ো ৬৩ রান দলের রান সংখ্যা ১৮০তে নিএ যায় ও মোট রান ১৯৩ হয়।
ইনিংসের শুরুতে ২০ রানের মধ্যে ভারত ২ উইকেট হারায়। তারপর প্রথম ইনিংসের নায়ক বিরাট কোহলিও ভারতকে জেতাতে ব্যার্থ হন ও ভারত ৩৩ রানে হেরে যায়। দ্বিতীয় টেস্ট লর্ডসেও ভারত প্রতিরোধ গড়তে পারল না এবং ভারত লর্ডসের টেস্ট ইনিংসে হেরে যায়। তৃতীয় টেস্টে ট্রেন্ট ব্রিজে ভারত ঘুরে দাঁড়ায় ও তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ ২০৩ রানে জিতে যায়। পরের টেস্টটি খুব হাড্ডাহাড্ডি হয়।

ইংল্যান্ড প্রথম ব্যাট করে ২৪৬ রান তোলে। স্যাম কারেন করে দুরন্ত ৭৮ রান এবং তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন মঈন আলি ৪০ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পুজারার অনবদ্য অপরাজিত ১৩২ রানের প্রেক্ষিতে ভারত করে ২৭৩। ২৭ রানে পিছিয়ে থেকে এবং শুরুতে অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে ব্যাট করে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২৭১। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ২৭ রানে পিছিয়ে থাকার দরুন ভারতের কাছে জেতার জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৪৫।

ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর কারনে ভারত প্রথম দিকে ব্যাকফুটে চলে যায় এরপর ইনিংসের হাল ধরেন রাহানে ও কোহলি। তাঁরা দুজনে শতরান যোগ করেন। কোহলি তাঁর বাক্তিগত অর্ধশত রান করার পর আউট হলে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে এবং ভারত ১৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই টেস্ট ম্যাচ জেতার সাথে সাথে ইংল্যান্ড সিরিজ জিতে যায়।
ক্রিকেট বিশেষঞ্জদের মতে, এই ইংল্যান্ড টিম সর্বকালের অন্যতম সেরা টিম। কারন এদের ব্যাটিং বোলিং ও ফিল্ডিং এর মধ্যে দারুন ভারসাম্য রয়েছে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ যেহেতু ইংল্যান্ডে হবে তাই সবাই ইংল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখছে এবং দেশের মাঠে ইংল্যান্ড কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেছে। সুনীল গাভাস্কারের মতে, এই ইংল্যান্ড টিম ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ জেতার সব থেকে বেশী দাবিদার।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট