বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে নিজের জীবন বিপন্ন করে অপর কে প্রাণে বাঁচালো সিভিক ভলেন্টিয়ার


সোমবার,১০/০৯/২০১৮
611

বাংলা এক্সপ্রেস ---

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে প্রাণে বাঁচলো ব্যাক্তি।এ এমন এক রোহমর্ষক চাঞ্চল্যকর ঘটনা যে,কোন ছায়া ছবির দৃশ্যকে ও হার মানাবে। তেমনই এক নাটকীয় ঘটনায় বছর ৪০ এর এক ব্যাক্তিকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে প্রাণে বাঁচালো এক সিভিক ভলেন্টিয়ার।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিং থানার তালদি বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন খিরীশতলা মোড়ে।এদিন সকালে তালদির দক্ষিণ তালদির বাসিন্দা মানসিক ভারসাম্যহীন খোকন হালদার এদিন ক্যানিং-বারুইপুর রোডের পাশে খিরীশতলা সংলগ্ন ৪০ ফুট একটি খিরীচ গাছে উঠে কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য ঝোলার চেষ্টা করে। সেই মুহুর্তে রাস্তার পাশে কৌতূহলী প্রচুর মানুষ উৎসাহ নিয়ে দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।যখন সকলে কৌতুহল দেখতে ব্যস্ত ঠিক তখনই
চোখের সামনে একজন মানুষ গলায় দড়ি দিয়ে মারা যাবে আর সকলে তাকিয়ে আনন্দ উপভোগ করবেন এটা কিছুতেই হতে দেবে না সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্যানিং থানার আধিকারিক কে ফোনে ঘটনার কথা জানান স্থানীয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার পবিত্র হালদার। মুহূর্তে থানা থেকে ফোনে ঐ সিভিক কে জানান হয় যেনতেন প্রকারে ঐ ব্যাক্তি কে যেন বাঁচানো হয়।
থানার কথা শুনে নিজের জীবন বিপন্ন করে সিভিক ভলেন্টিয়ার পবিত্র হালদার বিশাল খীরিচ গাছে উঠে খোকন হালদার কে নামাতে গেলে খোকন হালদার সিভিক ভলেন্টিয়ার পবিত্রকে বার পাঁচেক জোরে জোর লাথীও মারেন।গাছের উপরে নিজেকে কোন রকম ভাবে সামলে নিয়ে মৃতপ্রায় ঐ ব্যাক্তি কে গাছের নীচে নামিয়ে আনেন পবিত্র।ইতিমধ্যে ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজীর হয়।
ক্যানিং থানার এসআই শুভময় শুভময় দাস বলেন “একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার যেভাবে নিজের জীবন বিপন্ন করে বিশাল খিরীচ গাছে উঠে মৃতপ্রায় ব্যাক্তি কে প্রাণে বাঁচিয়েছে তা সত্যি প্রসংশনীয় এবং পুলিশ মহলের গর্ব। ”
যদিও সিভিক ভলেন্টিয়ার পবিত্র হালদার বলেন “সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসাবে আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি মাত্র। ”

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট