ডাক্তার দেখাতে পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালে গেছিল মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। তারপর সবার চোখ এড়িয়ে সোজা উঠে গেল হাসপাতালের তিনতলার কার্নিশে। সেখান থেকে তাকে নিরাপদে নামাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল দমকল ও হাসপাতাল কর্মীদের। কোনও মতে বুঝিয়ে মইয়ের সাহায্যে তাকে মাটিতে নামানো হয়। গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে। ইঞ্জেকশনের ভয়েই সে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিল বলে জানা গেছে।
রোগীর নাম রাকেশ পাসোয়ান। বাড়ি ভদ্রেশ্বর রেল কোয়ার্টারে। গতকাল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে এসেছিল মানসিক ভারসাম্যহীন রাকেশ। প্রথমে হাসপাতালের মধ্যেই বসেছিল। পরে সবার চোখ এড়িয়ে কখন যে সেখান থেকে বেরিয়ে গেছিল তা কেউই টের পাননি। ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় তাকে খুঁজে না পেয়ে একপ্রকার শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতালের মধ্যে। রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিংয়ে যাওয়ার সময় তিনতলার কার্নিশের উপর এক যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। অন্ধকারের মধ্যে ওভাবে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান তাঁরা। খবর পেয়ে ততক্ষণে তার পরিবারের সদস্যরাও সেখানে পৌঁছে যান। তারপর সবাই তাকে নিচে নেমে পড়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু, কোনও কথায় কান না দিয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে রাকেশ।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চন্দননগর থানায় খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দমকলেও খবর দেওয়া হয়। এরপর মইয়ের সাহায্যে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে রাকেশকে নিচে নামিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ইঞ্জেকশনের ভয়ে পাইপ বেয়ে সোজা তিনতলার কার্নিশে উঠে পড়েছিল রাকেশ।”
ইঞ্জেকশনের ভয়ে পাইপ বেয়ে সোজা তিনতলার কার্নিশে,হিমশিম খেতে হল দমকল ও হাসপাতাল কর্মীদের
শনিবার,০৮/০৯/২০১৮
502
সুমন করাতিঃ হুগলী---