দিল্লি  সরকার বানাচ্ছে কালিয়াগঞ্জে ধোকড়া


বৃহস্পতিবার,০৬/০৯/২০১৮
675

পিয়া গুপ্তা ,কালিয়াগঞ্জ ---

দিল্লি  সরকার বানাচ্ছে কালিয়াগঞ্জে ধোকড়া,  আর তাকে যোগ্য সহযোগিতা করছে রাজ্যের মমতা সরকার। কি অবাক হয়ে গেলেন তো শুনে
হ্যাঁ এমন বিরল দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য খুব কম মানুষেরই জোটে।  কিন্তু কাকতালীয়ভাবে এমন অভিনব দৃশ্য চোখে পরলো উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ সুরষা গ্রামে। যেখানে দেখা গেল ধোকড়া বানাতে ভীষণ ব্যস্ত দিল্লি সরকার। আর সেই ধোকড়া কোথায় কোথায়  বিক্রি হবে সে ব্যাপারে পথ বলে দিছে  মমতার রাজ্য সরকার  ফলে পোয়াবারো দিল্লি সরকারের।স্বামী মনতোষ সরকার, মেয়ে রিতা সরকার, বৌমা অনামিকা, সরকার ও ছেলে রাজীব সরকার কে সাথে নিয়ে একের পর এক রংবেরং এর ধোকড়া বানিয়ে চলছে দিল্লি সরকার। শুধু তাই নয় তার তৈরি ধোকড়া এখন শুধু এই জেলাতেই নয় পাড়ি দিচ্ছে ভারতে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়।  আর সেই দিল্লি সরকারের হাতে তৈরি ধোকড়া ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সাথে সুনাম কুড়িয়ে  নিয়েছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়।

উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সুরষা। যেখানে বসবাস করে এই দিল্লি সরকার। আর যে সরকার দায়িত্ব এখন নিজের সংসার সামলে দিয়ে স্বামীর সাথে বসে রংবেরঙের ধোকড়া  তৈরি করা। নিজে দিল্লি সরকার  হয়ে কখনো অহংকার বোধ করেন না তিনি। তাই সবার সাথে বসে হাসিমুখেই তিনি বানিয়ে চলছে কলার সুতা দিয়ে সেই ধোকড়া। শুধু ধোকড়া নয় সঙ্গে রয়েছে জুটের বিভিন্ন সৌখিন জিনিস ও ।তা  তৈরি করে চলছেন একের পর এক।

দিল্লি সরকার জানান ভোটের সময় যখন কোন একটি রাজনৈতিক দল তার বাড়িতে এসেছিল তখন তিনি তার তৈরি ধোকড়া পেতে  দিয়ে বলেছিল সেখানে  বসতে ।কিন্তু তারা তখন সেই  ধোকড়ার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে না বসে তারা তখন সেই ধোকরা বাজারে কেমন করে বিক্রি করা হবে সেই ব্যাপারে তাঁকে সহযোগিতা  করতে লাগল । এগিয়ে এল জেলা শিল্প কেন্দ্র । তাদের মাধ্যমে দিল্লি  সরকার  তখন থেকে  সরকারি সব মেলায় রাজ্যের  বিভিন্ন জায়গায় যেতে লাগল। সেই থেকে শুরু পথ চলা। এই ভাবে চলতে চলতে দিল্লির সরকার একবার পারি দিল   বাংলাদেশেও।  এরপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। মমতা সরকারের নজরে চলে আসায়  দিল্লি সরকার  আজ ভীষণ খুশী।   জাণা যায় দিল্লি সরকার   এই ধোকড়া তৈরি করছে আবার কলাগাছের ছাল কেটেব সেখান থেকে সুতো বের করে। তাই অভিনব এই ধোকড়া  আজ আর পাঁচটা ধোকড়ার চেয়ে একদমই আলাদা হওয়ায় সবাইকে এখন থেকে ছুটতেই হবে একবারের জণ্য হলেও সেই কালিয়াগঞ্জ সুরষা গ্রামে ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট