শিক্ষিক দিবসের বড় উদাহরন রাঙাপুকুরের শোভাঃউত্তর দিনাজপুর


বুধবার,০৫/০৯/২০১৮
587

পিয়া গুপ্তা ,উত্তর দিনাজপুর---
 শিক্ষিক দিবসের দিনে এক বড় উদাহরন রাঙাপুকুরের শোভা। অদম্য জেদ ও ইচ্ছায় শোভা আজ সকল প্রতিবন্ধকতা কে হার মানিয়ে দিয়েছে । ছোট বেলা থেকে শোভার মধ্যে ছিল আদম্য জেদ আর সেই যেদ ও মা সরস্বতী র আর্শিবাদে সে মানুষ গড়ার কাড়িগড়ের কাজ করছেন। ছোট বেলা থেকেই শোভার দুই হাত অকেজ সে তার নিজের দুই পা দিয়ে পড়া শুনা চালিয়ে গেছে। ছোটোবেলা থেকেই বহু কষ্টে মানুষ শোভা।

শোভারবাবা মলিন মজুমদার হাঁস-মুরগির খাবারের দোকানে কাজ করেন।ছোট্ট থেকে মেয়ের প্রতিবন্ধকতায়  মনে মনে ই খুব কষ্ট পেতেন মা শান্তি দেবী।কিন্তু শান্তি দেবীর কড়া প্রতিজ্ঞা কিছুতেই হার মানতে দেবেন না শোভা কে।তাই পাড়া প্রতিবেশী যখন মুখ ফিরিয়ে হাসাহাসি করতো শোভা কে নিয়ে ।তখন ছোট্ট মেয়ে শোভা কে নিয়ে বসে পড়তেন মা।হাত নেই তো কি হয়েছে পা তো আছে।

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, চেষ্টা ও ইচ্ছা ই মানুষের সব অসাধ্যকে বাস্তব রূপদিতে পারে, সকল বাধা বিপত্তি প্রতিবন্ধকতা শত প্রতিকূলতা উদ্ধে মানুষের ইচ্ছা শক্তি ও সব প্রচালিত কথা গুলিবাস্তবে যে কতটা সত্যি তা প্রমান করে দেখিয়ে দিযেছিল রায়গঞ্জ রায়পুরের বাসিন্দা শোভা মজুমদার। দুই হাত অকেজ হওয়ায় সত্তেও শোভা থেমে থাকেনি। প্রতিবন্ধকতা সে জয় করছে পা দিয়ে। ছোটবেলায় পায়ের দু’আঙুলের ফাঁকে মা শান্তি দেবী গুঁজে দিয়েছিলেন  পেনসিল  ৷ ছোট্ট  শোভা তখন থেকেই ক পা দিয়েই শ্লেটের ওপর লিখতে শেখেছিলেন অ, আ,  ই, দীর্ঘ ঈ।আর এই ভাবেই হয়ে গেল শোভার পায়ে-খড়ি! আর এই ভাবেই শোভা এক সময় পা দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করলো।পা দিয়ে লেখা পড়া একের পড় এক গন্ডিপেরিয়ে
প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষার সাফাল্য পেয়ে শোভা বর্তমানে রাঙ্গাপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতাই অর্জন করেনি শোভা।পা দিয়েই জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে শেখিযেছিল মা তাকে।তাই সবজি কাটা কিংবা মশলা বাটা সব কিছুই শোভা তার দুটো পা দিয়ে শিখে নিয়েছে।নিজেকে করে ফেললো সব দিক থেকে পারদর্শী ।জন্ম লগ্ন থেকে হাত দুটি অকেজো  রায়গঞ্জের রায়পুরের এক হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে শোভা।তাদের পরিবারে দুই ভাই ও দুই বোন রয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবন্ধকতাকে তার জীবনের বাধা সৃষ্টি করতে না পা দিয়ে কাগজ কলম তুলে নেই সে।
শুধুমাত্র যোগ্যতার দিক অনন্য বহু দিক দিয়ে অনেক স্বাভাবিক মানুষকে হার মানাতে পারবে। ২০০০ সালে রায়গঞ্জের মোহনবাটি পারব্বতী উচ্চবালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ২০০২ সালে দারিকা প্রসাদ উচ্চবালিকা বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক, সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে পরবর্তীতে ইতিহাসে এম এ পাশ করে সে। এরপরে চাকরির জন্য নানা জায়গায় অবেদন করে অসফল হয়ে অবশেষে ২০০৯ সালে প্রথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষায় অনন্য। সকল প্রতিযোগির সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে যগ্যতার। নিরীখে ২০১১ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পায় শোভা তিনি এখোন তার পাড়ার রাঙ্গাপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা।তার বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষক ও ১০৭ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। সেই অন্যান শিক্ষক শিক্ষিকাদের মতো প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসেন অন্যান শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্র ছাত্রীদের হাত দিয়ে ব্লাক বোর্ডে লিখিয়ে পড়া শুনা ক্রায় কিন্তু শোভা তার উল্টো হাতের বদলে সে পা দিয়ে ব্লাক বোর্ডে লিখে ছাত্র ছাত্রীদের পড়া শুনা শিক্ষাচ্ছে সোভা। দিন মজুর বাবা সহ পরিবারের লোকজন তাদের মেয়ে শোভার এই সাফল্যে খুব খুশি। শোভা জানান চাকরি পাওয়ার মধ্যে দিয়ে সে নতুন জীবন শুরু করল। এদিকে রাঙ্গা পুকুর প্রথমিক বিদ্যালয়ের অন্যন্য শিক্ষকরাও শোভাকে সদর গ্রহন করেছেন এবং তারা জানান শোভার সাথে কাজ করে তারা ধন্য। ২০০৫ সালে তত্কালিন রাজ্য পাল বীরেন জেসার হাত থেকে রোল মডেল রুপে পুরুস্কার প্রপ্ত শোভার শাররীক, আথিক সামাজিক প্রতিবন্ধকতা জয়ের এই নিদশননে উদবৃদ্ধ উত্তর দিনাজপুর জেলা বাসী। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষিক দিবস এই শিক্ষক দিবসে ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরুকরে শিক্ষা মহলে এই বড় উদাহরণ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট