রাম বিলাস বললেন অযোধ্যায় খুব শিগগিরি রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে


সোমবার,০৩/০৯/২০১৮
559

বিশেষ প্রতিবেদকঃবাংলা এক্সপ্রেস---

ভারতে বিজেপি’র সাবেক এমপি ও রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সভাপতি রাম বিলাস বেদান্তি বলেছেন, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় খুব শিগগিরি রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আজ (রোববার) গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শ্রী বেদান্তি ওই মন্তব্য করছেন।

রাম বিলাস বেদান্তি আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগেই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হওয়ার আশাপ্রকাশ করে বিশ্বে শান্তি স্থাপনের জন্য হিন্দু-মুসলিমের এক হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

জয়পুরে সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাম বিলাস বেদান্তি বলেন, ‘হিন্দুদের কাছ থেকে ইসলামের কোনো বিপদ নেই, এজন্য বিশ্বের মুসলিম ভারতের সঙ্গে সমঝোতা করে অযোধ্যায় দ্রুত রাম মন্দির নির্মাণ চায়।‘

তার মতে, যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এভাবে এগিয়ে চলতে থাকেন তাহলে সেদিন আর দূরে নয় যে, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ শুরু হবে।

রাম বিলাস বেদান্তি এ ব্যাপারে আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের ভূমিকাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, শ্রী শ্রী কে যে, তিনি এ নিয়ে আপস করাবেন। আমরা ওই ইস্যুতে আন্দোলন করেছি, এরমধ্যে শ্রী শ্রী কীভাবে চলে এলেন? কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, এনজিও চালানো লোক এ নিয়ে কিছুই করতে পারবেন না।’

‘ভুল বার্তা দিয়ে মন্দির তৈরি করতে পারবে না বিজেপি ও আরএএস’

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ আজ (রোববার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন থাকায় এভাবে ভুল বার্তা দিয়ে কখনোই রাম মন্দির তৈরি করতে পারবে না বিজেপি। কারণ, গোটা দেশবাসী জানে বাবরী মসজিদের জায়গায় কখনো রাম মন্দির হতে পারে না। গোটা পৃথিবীর মুসলিম সমাজের মানুষের কাছে চরম আঘাত এসেছিল ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যখন বাবরী মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়। বিতর্কিত জায়গায় এখন রাম মন্দির নির্মাণের ইস্যু তুলে ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে বিজেপি সরকার। কিন্তু বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না, ২০১৯ সালে তাদের পতন সুনিশ্চিত হবে। দেশবাসী মোদির মিথ্যা ভাষণে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভোট দিয়ে ভুল করেছিলেন। সেজন্য বিজেপি’র সাবেক এমপি কী বললেন তাতে কিচ্ছু এসে যায় না।’

‘মসজিদের জমিতে কেবল মসজিদই তৈরি হতে পারে’
এদিকে, গত (শুক্রবার) লক্ষনৌতে জুমা নামাজের খুতবায় ভারতের প্রখ্যাত শিয়া আলেম মাওলানা সাইয়েদ কালবে জাওয়াদ বলেছেন, ‘মসজিদের জমিতে কেবল মসজিদই তৈরি হতে পারে।’ তিনি এ ব্যাপারে প্রখ্যাত শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ আলী আল-সিস্তানির ওই ফতোয়াকে সমর্থন করেছেন যাতে বলা হয়েছে ওয়াকফ সম্পত্তি অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয় বা ধর্মস্থান বানানোর জন্য দেয়া যায় না। তিনি বলেন, ‘আয়াতুল্লাহ সিস্তানির পক্ষ থেকে যে ফতোয়া দেয়া হয়েছে সেটাই শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি। আমরা আগেও বলেছি যে মসজিদের জমিতে কেবল মসজিদই তৈরি হতে পারে।’

যাদবপুর ববিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ডিসেবিলিটি স্টাডিজ ও শিক্ষা বিভাগ আয়োজন করেছিল জাতীয় স্তরের সেমিনার। প্রধান আয়োজক ছিলেন যাদবপুর ববিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোজিত মন্ডল। আসামের নাগরিকপঞ্জী সাম্প্রদায়িকতা জাতীয়তাবোধ মনোসামাজিক বিশ্লেষণ করলেন বিশিষ্টজনেরা।
এই জাতীয় স্তরের সেমিনারের বিষয় ছিল “নাগরিকপঞ্জী, সাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবোধ : একটি মনোসামাজিক বিশ্লেষণ” এই বিষয়ে প্রধান বক্তা হয়ে দুর্দান্ত বললেন, অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য, প্রাক্তন উপাচার্য, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ও বাংলার স্বনামধন্য ও বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকার।
সহবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুলা ভদ্র, মহুয়া সরকার, অমৃত সেন ও আরও অনেক বিশিষ্টজন।
সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার ঘোষ, সহ উপাচার্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
সকে পি বসু মেমোরিয়াল হলে গত ৩১ আগস্ট, ২০১৮ শুক্রবার সময় দুপুর ২ টোয় শুরু হয়েছিল এই সেমিনার।

চল্লিশ লক্ষ মানুষ রাতারাতি রাষ্ট্রহীন,নিজের পাড়ায় নিজের বাড়িতে শরণার্থী। তাদের নাম নেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে। তাঁরা কোথায় যাবেন, কোন দেশে যাবেন কেউ জানে না। এই ভয়ঙ্কর অমানবিক ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী তাঁদের জবাব দিতে হবে। এবার সময় হয়েছে পথে নামার। রাস্তাতেই একমাত্র রাস্তা।

গত ১০ আগস্ট ২০১৮ বিকেল ৩ টেয় প্রেস ক্লাবে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করাও হয়েছিল। প্রতিবাদ সভায় আগত সবাই মিলে আসামের নিজগৃহে গৃহহীন মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন। নিজেদের বকিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন।

আসামের পাশে বাংলার নাগরিক সমাজ।

কলকাতা প্রেস ক্লাবে বাংলার সচেতন কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ও সুনাগরিকদের একটা অংশ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন এবং আসামের পাশে দাঁড়াতে জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন।

কবি সুবোধ সরকার লিখেছিলেন, “চল্লিশ লাখ হয়েছে, কাল হবে এক কোটি, ওরাই বলছে। কাল আমার নাম থাকবে না। আপনার নাম থাকবে না। হিটলারের সময়ে মাঝরাতে দরজায় নক করে বলা হত ‘য়্যু ডু নট একজিস্ট ফ্রম টুমরো’। সেটা না করে, সুচতুর তালিকা তৈরী করে, সেই সময়টাকে ফিরিয়ে আনা হল দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে। পথে নামতেই হল। রাষ্ট্রপুুঞ্জ হতবাক। জার্মানির কাগজগুলোতে হেডলাইন। তাতে কী আসে যায় ওদের। ওরা বলেই চলেছেন গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবেন আমাদের। কী নির্মম, কী নিষ্ঠুর এদের চেহারা।”

‘মানুষ বড় কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও’ লিখেছেন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। বুদ্ধি, বিবেক ও সংবেদনশীল মনের কাছে এই আমাদের প্রার্থনা।

আজ অসম নিয়ে যে সঙ্কটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা সে সঙ্কট সারা দেশের, সারা ভারতের।

আমরা সবাই জানি আসানসোলের পুত্রশোকে মুহ্যমান বাবা তবু মাথা তুলে উঠে দাঁড়ালেন, বললেন, না কোন প্রতিহিংসা নয়। এই শোক ও সংকল্পের উদ্ভাসন থেকে শুরু হোক আমাদের তিমিরবিনাশের প্রণতি।

আমরাও জীবনানন্দের মতো দু’দণ্ডের শান্তি চেয়েছিলাম। শান্তি চাই এবং সারাজীবন চাইব।

সম্প্রীতির পক্ষে, বিভাজনের বিরুদ্ধে এবং অস্তিত্ব রক্ষায় বিশিষ্টজনের সভা ও আলোচনা চলছে সর্বত্র। বাংলার বিবেক গর্জে উঠছে দলমত নির্বিশেষে সবাই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে।

সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও পথে নেমে মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং আসামের পাশে থাকার আহ্বান করেছেন।

আসামের পাশে থাকার জন্য মহতী সভায় লেখক, কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক ও নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

বিভাস চক্রবর্তী, শুভাপ্রসন্ন, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, সুবোধ সরকার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, কল্যাণ রুদ্র, অভিরূপ সরকার, আবুল বাশার সহ বহু বিশিষ্ট মানুষ বিভেদকামী শক্তিকে প্রতিহত করতে বিশেষ বার্তা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

সম্প্রতি প্রেস ক্লাবে সম্প্রীতির পক্ষে, আসমে নাগরিকদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিভাজনের বিরুদ্ধে এবং বেভেদকামী শক্তিকে প্রতিহত করতে বিশিষ্টজনেরা আলোচনা সভায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন।

এই বাংলায় ও গোটা দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাইকে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বানও তাঁরা জানিয়েছিলেন।

এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আসামের পাশে দাঁড়াতে একটি জাতীয় স্তরের সেমিনারের আয়োজন করল।

ভারতের আসমের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) কার্যকর করে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নের দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তারা অবশ্য হিন্দু শরণার্থীদের বিতাড়নের কোনও প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছেন এবং তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার পক্ষে সাফাই দিয়েছে।

সম্প্রতি সংগঠনটির রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এনআরসি ছাড়াও ‘ঘর ওয়াপসি’, ‘লাভ জিহাদ’ ‘ল্যান্ড জিহাদ’ ইত্যাদি বিতর্কিত ইস্যুতে মাঠে নামার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তাদের দাবি, রাজ্য সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, এভাবে তারা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি জম্মু-কাশ্মীরেও তারা পৌঁছে গেছে। রাজ্য সরকার আগুন নিয়ে খেলা করছে।

‘ঘর ওয়াপসি’ (বিভিন্ন কারণে যারা হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, তাদেরকে পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা) বা ‘ঘরে ফেরানো কর্মসূচি’ রূপায়ণের জন্য দুর্গাবাহিনী ও বজরং দলের সদস্যদের নিয়ে একটি মঞ্চ গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি কাজে লাগানো হবে মঠ-মন্দির ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে।

তাদের অভিযোগ, এখানে হিন্দুদের দেবত্তর সম্পত্তি ও হিন্দুদের সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেয়া হচ্ছে এবং কম দামে কিনে নেয়ার মধ্য দিয়ে ‘ল্যান্ড জিহাদ’ চলছে।

অন্যদিকে, তারা কথিত ‘লাভ জিহাদ’ (হিন্দু নারীদের ভালবাসার ছলে ধর্মান্তরকরণ) রুখে দিতে মানুষজনকে বোঝাতে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাবে।

এইসব বিভাজন করে ভারতের ও বাংলার সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না বিজেপি।

পশ্চিমবঙ্গে ওরা কখনও সফল হবে না, এসব প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের সহ অধিকর্তা ফারুক আহমেদ ৩১ আগস্ট শুক্রবার সংবসদ মাধ্যমকে বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ওরা একবিন্দুও সফল হতে পারবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য ছোটখাট দাঙ্গার মধ্য দিয়ে মানুষকে বিভক্ত করার চক্রান্ত করেও ওরা চরমভাবেই বাংলায় ব্যর্থ হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতি করে সম্প্রীতির বাংলায় কখনও সফল হবে না বিজেপি। বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। দেশের বৈধ নাগরিকদের অন্যায়ভাবে বিদেশি বানিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশবাসী সোচ্চার হচ্ছেন, এটাই আশার আলো। আমরা আগে দেখেছি বিজেপি সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে বিভাজন করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছে। আসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে লাখ লাখ বৈধ নাগরিকদের নাম বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র কোন উদ্দেশ্যে তা আমরা বুঝতে পারছি। এভাবে আসম থেকে বাঙালি মুসলিম ও হিন্দুদের খেদিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না কেন্দ্রে ও অসম বিজেপি সরকার।

ফারুক আহমেদ আরও বললেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ভারতকে ওরা ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বানাতে পারবে না। ভারতের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। সংবিধানকে কলঙ্কিত করার উদ্যোগ সুস্থ নাগরিকরা মেনে নেবেন না। মিশ্র সংস্কৃতিই আমাদের অর্জিত বৈভব। মিশ্র সংস্কৃতির দেশ ভারত। ভারতীয় সংবিধানের অমর্যাদা প্রকৃত ভারতবাসীরা মেনে নেবে না। ভারতকে যারা অপবিত্র করছে তারা মানুষ নয়, মানুষ নামের অন্য কিছু। ভারত আমাদের মাতৃভূমি। যেভাবে ওরা বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে তাতে ভারত গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলেছে। ভারতবাসী দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে অন্য দেশের থেকে।

ফারুক আহমেদ আরও বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কোনোরকমভাবে ওরা দাঁত ফোটাতে না পেরে এখন একেকটা ইস্যু তোলার চেষ্টা করছে। এখানে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা সব ধর্ম, সব বর্ণের মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন। যেজন্য গোটা ভারতের বিরোধীশক্তি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতে চাইছেন। সেই ভয়ে বিজেপি এখন পশ্চিমবঙ্গে আশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। মহান ভারতকে ওরা আর কত নীচে নামাবে! আশা করি ভারতবাসী আগামী লোকসভা নির্বাচনে যোগ্য জবাব দেবেন।

২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে দেশের সুনাগরিকরা বিজেপির পতন সুনিশ্চিত করবেন বলেও মন্তব্য করেন ফারুক আহমেদ।

বাংলার প্রতি প্রান্তে “নবচেতনা” ফিরিয়ে আনতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে সচেতন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর সঙ্গে নিতে হবে দলিত ও সংখ্যালঘুদেরকেও। কাউকে পিছনে রেখে আচ্ছে দিন আসে না এবং দেশও এগিয়ে যায় না। মানব কল্যাণে ফারুক আহমেদরা নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছেন বলেই দেশে আজও সম্প্রীতির অটুট বন্ধন ঠিকে আছে।

ফারুক আহমেদ আরও বললেন, বিজেপির পতন সুনিশ্চিত করতে পারবেন বিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমাতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দেশবাসীর কল্যাণে ২০১৯ সালেই আমাদের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমাতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হোক দেশের প্রধানমন্ত্রী।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট