ভাই মারা যাওয়ায় ভাইয়ের বউ বিধবা হয়। আর সেই বিধবা বৌমার উপর দীর্ঘদিন ধরেই কুদৃষ্টি দিয়েছিলেন ভাসুর। দীর্ঘ দুবছর ধরে বৌমাকে কুপ্রস্তাব দিলেও তাতে রাজী হননি বৌমা। আর সেই কারণেই শনিবার রাতে তার ঘরে ঢুকে এক সহযোগীকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ভাসুর সাইফুল্লা গাজী। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ঐ গৃহবধূকে বেধড়ক মারধোরের অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ভাসুর সাইফুল্লা ও তার সহযোগী মোক্তার গাজীর বিরুদ্ধে।এমন নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তী থানার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর গ্রামে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
উল্লেখ্য প্রায় বছর ১২ আগে বাসন্তীর ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দাবাদ গ্রামের ঐ গৃহবধূর সাথে বিয়ে হয় বাসন্তীর কৃষ্ণনগর গ্রামের সরিফুল গাজীর। বছর দুয়েক আগে সরিফুল মারা গেলে চার সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন ঐ গৃহবধূ। অভিযোগ স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই ভাসুর সাইফুল্লা গাজী ভাই বউয়ের দিকে কু নজরে দেখতেন। একাধিকবার সহবাসে লিপ্ত হওয়ার জন্য ভাই বউকে প্রস্তাব ও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজী হননি ঐ গৃহবধূ।
অবশেষে শনিবার রাতে জোর করে ঐ গৃহবধূর ঘরে ঢুকে মোক্তার গাজী নামে এক সহযোগীকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত সাইফুল্লা গাজী। তাতেও রাজী না হলে ব্যাপক মারধোর করা হয় ঐ গৃহবধূকে। এ বিষয়ে কাউকে জানালে প্রানে মারার হুমকি ও দেয় অভিযুক্ত। ঘটনায় গুরুতর জখম ঐ গৃহবধূ বাসন্তী ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ভাসুরের বিরুদ্ধে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী পুলিশ।