কলকাতা: পরপর দুটি মহামিছিল – ১৭ বাম দলের সম্মিলিত কর্মসূচিতে ভিড় ছিল যথেষ্টই। দেশের সাত শহরে হানা দিয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশ নামজাদা কবি সাহিত্যিক সমাজকর্মীদের যে ভাবে গ্রেফতার করে তার প্রতিবাদে ১৭ বাম দল গত ৩০ আগষ্ট মহামিছিল সংগঠিত করে। আর পয়লা সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিছিলেও সামিল ওই ১৭ বাম দলের নেতা কর্মীরা। রাজ্যে বিজেপির উত্থানে ক্রমশই মাটি হারাচ্ছে বামেরা।সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচন কিংবা উপনির্বাচন গুলির ফলাফলে সেই ছবিটাই স্পষ্ট হয়েছে। দরজায় কড়া নাড়ছে ২০১৯। যেভাবে রক্তক্ষরণ হয়ে চলেছে রাজ্যে বাম শক্তির সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটে নিজেদের দখলে থাকা রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দুটি ধরে রাখা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছেই সিপিএমের অন্দরে।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরপর দুটি মহামিছিলের ভিড়ভাট্টা যথেষ্টই আশা জাগিয়েছে আলিমুদ্দিনের ম্যানেজারদের।তাই শুধু বামফ্রন্টগত নয়, বাম সহযোগীদেরও সঙ্গবদ্ধ করে নির্বাচনী আসরে কিভাবে নামানো যায় সেই চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখছেন না তাঁরা। পাশাপাশি রাজ্যের শতাধিক গণসংগঠন ও সামাজিক সংস্থার মঞ্চ বিপিএমের কর্মসূচিকে সফল করতে সর্বশক্তি দিয়ে আসরে নামতে চাইছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। ১৯’এর ভোটে এই বিপিএমও- র পূর্ণ সমর্থন পাওয়াই লক্ষ্য তাঁদের।সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বিপিএমও- র কর্মসূচিকে সফল করার ডাক দেন। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মত, শুধু বামফ্রন্টে নয়, অস্তিত্ব রক্ষায় সিপিএমের ভরসা বৃহৎ বাম ঐক্যের দিকেই।