পশ্চিম মেদিনীপুর: পচা ডিম এবং নষ্ট হওয়া কালচে সোয়াবিন দেওয়ার অভিযোগ উঠল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ করা হয় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে। বেশ কয়েকদিন ধরেই খাওয়ার অযোগ্য এমনই খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। ঘটনা নারায়ণগড় ব্লকের রানী সরাই ১০ অঞ্চলের ডোগরা-নহপাড় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।আজকে তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী খাবার দেওয়া হলে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। এলাকাবাসী তেমনই খাওয়ার অনুপযোগী খাবার নিতে অস্বীকার করে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।গ্রামবাসীরা বাজেয়াপ্ত করে নষ্ট হওয়া সয়াবিন প্যাকেটগুলোকে।যদিও কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রে অনুপস্থিত অঙ্গনওয়াড়ি দায়িত্বে থাকা ছবি রাণা। নহপাড় গ্রামের প্রায় ৩০ জনের অধিক বাচ্চারা আছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ-” অনেকবার বলার পরেও এর কোন সুরাহা হয়নি।আগেও এই রকম নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।”ঘটনার পর নিজেদের বাচ্চাদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছে অভিভাবকরা।দিনের পর দিন এমন ঘটনার কারণে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। এমনই এক অভিভাবক রিতা মন্ডল জানিয়েছেন-“আজ আমরা সয়াবিনের মধ্যে পোকা দেখতে পেয়ে খাওয়ার নিতে অস্বীকার করি। শুধু আজ নয় এর আগেও খাবারের মধ্যে এই পোকা দেখা গিয়েছে।”তবে অঙ্গনওয়াড়ি দায়িত্বে থাকা ছবি রানা জানিয়েছেন-“আমি আজকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপস্থিত ছিলাম না।একজন অভিভাবকের কাছ থেকে ঘটনার কথা শুনে কাউকে আজকে রান্না করা খাবার নিয়ে যেতে দেয়নি। তবে নষ্ট হয়ে যাওয়া কালচে সোয়াবিনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি দায়িত্বে থাকা ছবি রানা।তিনি বলেন-“আমাদের এই কালচে পড়া সয়াবিন সরবরাহ করা হয়েছে কিন্তু তা আজকে রান্না হয়নি।তবে আমি আমার সুপারভাইজার কে জানিয়েছি।”
দায়িত্বে থাকা ছবি রানা কথামতো সরবরাহ করা নষ্ট হওয়া সয়াবিন কেনই বা কেন্দ্রে এল তা নিয়ে বিশাল প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে।