বহরমপুরঃ “পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তৃণমূল এক পঞ্চায়েতি সিন্ডিকেট ব্যবস্থার জন্ম দিয়েছে। রাজীব গান্ধীর তৈরি পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দিল্লি থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে। কিন্তু সেই টাকা মাঝ পথ থেকেই লুঠ হয়ে যাচ্ছে। যাদের জন্য টাকা তাদের কাছে পৌছাচ্ছে না। লুঠের টাকার একটা বড় অংশ দিয়ে তৃণমূলের পার্টি ফান্ড তৈরি হচ্ছে। পঞ্চায়েত রাজকে সামনে রেখে তৃণমূল সরকার রাজ্য জুড়ে রাহাজানি, সন্ত্রাস, লুঠ চালাচ্ছে। যেইদিন থেকে পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণা হয়েছে সেই দিন থেকে বাংলা জুড়ে রক্ত ঝরছে। নীল সন্ত্রাস বাংলাকে গ্রাস করেছে। তাই পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল রাজ্যে অভূতপূর্ব সন্ত্রাস চালাচ্ছে। অথচ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে নিয়ে এত খুন-, সন্ত্রাস অন্য কোন রাজ্যে হয় না।”- বৃহস্পতিবার দুপুরে বহরমপুর জেলা কংগ্রেস অফিসে বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন আমাদের ১০০ শতাংশ আসনে জয়ী হতে হবে। রাজ্যের এক মন্ত্রী বলেন বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত দখল করতে পারলে ওই পঞ্চায়েতকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। তাহলে এই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কখন সন্ত্রাস মুক্ত হতে পারে না। তিনি আরও বলেন ফিনান্স কমিশন ৪২ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করে পঞ্চায়েতের জন্য। ইউ পিএ সরকার সরকার ১০০ দিনের কাজ, খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু করেছে। ইউপিএ সরকারের ওই প্রকল্পগুলির সুবিধা মানুষের কাছে পৌছাচ্ছে না। তিনি পুলিস প্রশাসনকে এক হাত নিয়ে বলেন, পুলিস প্রশাসন নিলামে প্রধান নির্বাচন করছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার এসপি, থানার অফিসাররা পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েতের প্রধান ঠিক করছেন।