কলকাতা: রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে আসামের ৪০ লক্ষের বেশি বাসিন্দার নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে এবার কলকাতায় রাজভবন অভিযানে অংশ নিলেন কয়েক হাজার মানুষ। দলিত, মুসলমান, মৎস্যজীবি সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এদিনের কর্মসূচিতে যোগ দেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মতুয়া ও আদিবাসি সম্প্রদায়ের বহু মানুষও যোগ দেন এদিনের অভিযানে।
কোন ভাবেই যেন এক জন নাগরিকের নাম বাদ না পড়ে সেই দাবিতে সরব হন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সকলেই। গর্জে ওঠেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।অতীন্দ্রনাথ দাস এস্টের প্রধান তথা রানি রাসমনি পরিবারের বর্তমান ববংশধর শ্যামলী দাস মৎস্যজীবীদের সঙ্গে নিয়ে যোগ দেন এদিনের রাজভবন অভিযানে। তিনি বলেন, সবাইকে একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। রানিমা সাফ জানান, এই নিয়ে রাজনীতি কেউ বরদাস্ত করবেন না।আমরা কেউ কোথাও যাব না। এদেশ আমাদের। কাউকেই তাড়ানো যাবে না। শ্যামলী দাস আরও বলেন, রাসমনি পরিবারেরই ছিল অাসামের বড় অংশ।মৎস্যজীবীদের যেমন দলিল দেওয়া হয়েছে তেমন ভাবে আসামের মানুষকেও দলিল দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হবে।তিনি আসামে যাবেন বলেও এদিন আবারও জানান রানি রাসমনির বংশধর শ্যামলী দাস।
সংখ্যালঘু মানুষজন আসামের নাগরিক পঞ্জি নিয়ে ছিলেন সরব। সংখালঘু আন্দোলনের নেতা কামরুজ্জামান দাবি করেন, ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম আছে তাদের সকলকেই নাগরিক পঞ্জিতে নাম রাখতে হবে।
এদিন পুলিশি অনুমতি না দেওয়ায় আসাম ভবনের পরিবর্তে টিপু সুলতান মসজিদ থেকে মিছিল শুরু হয়েছিল। ধর্মতলা মেট্রো চ্যানেলে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। সেখানেই প্রতিবাদ সভা করে আন্দোলনকারীরা। একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয়।