কলকাতা: বঙ্গভঙ্গ রদের দাবিতে গর্জে উঠেছিল বাংলা।সালটা ১৯০৫। আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা থেকে কলকাতা। পথে নামলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও।লিখলেন গান। “বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল/ পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।”ছেলে-বুড়ো গান গাইতে গাইতে সেদিন মুখরিত করে তুলেছিল মানবজমিন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জাতিতে জাতিতে বন্ধন গড়ে তুলতে বিশ্বকবি আহ্বান জানালেন রাখি বন্ধন উৎসব উদযাপনের।আর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা বঙ্গদেশে মানুষ বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একে অপরের হাতে পড়িয়ে দিয়েছিলেন রাখি। সেই ট্রাডিশন সমানে চলে আসছে। বাংলার ধর্মনিরপেক্ষতা ঐতিহ্যের, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন দেখালেন উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসেরর অন্যতম নেত্রী নীহারিকা মুখোপাধ্যায়।
তাঁর উদ্যোগে কলকাতা পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান সহ সকল ধর্মের মানুষের হাতে পরিয়ে দেওয়া হয় রাখি, কপালে চন্দনের তিলক।পথ চলতি মানুষ, মুটে- মজুর কেউ বাদ যাননি।তৃণমূলের মহিলা সদস্যারা মিছিল করে বো-ব্যারাকে গিয়ে সেখানকার খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের হাতেও পরিয়ে দিয়ে আসেন রাখি। সঙ্গে ছিল দেশাত্মবোধক গান।রাখি বন্ধন হয়ে ওঠে মিলন বন্ধন। পাশাপাশি কেরলের বন্যাদুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সংগ্রহ করা হয় ত্রাণও। নীহারিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, সংগৃহিত ত্রাণ তাঁরা তুলে দেবেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের হাতে।