কলকাতা: কোলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দীর্ঘ সময় অর্থাৎ ৬ বছর পর মেধাতালিকার উপর ভিত্তি করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। আর শুরুতেই দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে এলো। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এস এস সি) অপেক্ষমান মেধাতালিকায় ৪৮ ঘন্টা আগে পর্যন্ত প্রথম ১৫ জনের নাম হঠাৎ করে রদবদল হয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি নাম মেধাতালিকার সর্বোচ্চ স্থানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কমিশনের মেধাতালিকা প্রকাশের পর অপেক্ষমান লিস্টে প্রথমে নাম ছিল ববিতা বর্মনের কিন্তু দুই দিন পর ওই প্রার্থীর নাম প্রথম স্থান থেকে সরে যায়, সেই জায়গায় অর্থাৎ প্রথম স্থানে নাম আসে অঙ্কিতা অধিকারী নামে এক প্রার্থীর। ফলে অপেক্ষামান দের লিস্ট থেকে প্রত্যেকের নাম পিছিয়ে যাওয়ায় চাকরির জন্য কাউন্সিলিংয়ে ডাক নাও পেতে পারেন তালিকার শেষের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থীরা।
এই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর যোগ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এস.আই.ও পশ্চিমবঙ্গ শাখা এই দুর্নীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজ্য সভাপতি ওসমান গণি বলেন , “বর্তমান রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি। চাকরি প্রার্থীদের দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে। মেধার ভিত্তিতে চাকরি না হওয়ার কারনে আজ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী বেকারত্বের জ্বালায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই দূর্নীতির ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে শ্বেতপত্র দাবি করছি।”