ঢাকা, বাংলাদেশ: ঠিক করলাম কলকাতা ঘুরতে যাব। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। ছেলেবেলায় সুনীল কিংবা সমরেশের বইয়ে পড়া সেই কলকাতায়। যে স্থানে কখনো যাওয়া হয়নি। কিন্তু কল্পনার সেই স্থানগুলোর ছবি আঁকা হয়েছে স্কুল জীবনে গল্পের বই পড়ার সময়। বই পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল নিজের কল্পনার জগতের মত করে চিন্তা করা যায়। ধরুণ আপনি একটি স্থানের বর্ণনা পড়ছেন, সেই স্থাণটি দেখতে কেমন হবে তা আপনিই নির্ধারণ করতে পারবেন চিন্তা অনুযায়ী। এই অনুভূতিগুলো মুভি কিংবা নাটকে পাওয়া সম্ভব নয়। শুধু মাত্র বই পড়েই পাওয়া সম্ভব।
ভ্রমণে যত মানুষ ততো বেশি মজা হয়। তাই বন্ধু-ভাইব্রাদারদের বললাম, চল/চলেন কলকাতা ঘুরে আসি। কিন্তু কেউ রাজি হল না। শেষ পর্যন্ত ঠিক করলাম একাই যাব।
ভিন্ন কোন দেশে আমি একা কখনো যাইনি। এর আগে ২০১৬ সালে ভারতে গিয়েছিলাম। তবে একা নয়, সাথে ছিল প্রায় ৮ জনের দল। তাই খুব বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। কিন্তু একা একা ভিন্ন একটি দেশে যেতে প্রথমে হালকা ভয় কাজ করছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণের কলকাতার সাংবাদিক ও আইটি উদ্যোক্তা রাজু আলম ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল বছর খানেক আগে। রাজু ভাই প্রায়ই বাংলাদেশে আসেন। ওনার সাথে গত বছর দেশে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল। রাজু ভাইয়ের সাথে আমার চমৎকার একটা মিল হল আমরা দুইজনই কফি/চা খেতে পছন্দ করি। ওনার সাথে কফি-চা পান নিয়ে রয়েছে আরো কিছু মজার গল্প। তা আরেক পর্বে তুলে ধরব।
ফেসবুকে রাজু ভাইকে নক করার পরে ওনি জানালেন কোন অসুবিধা হবে না। আমি যেন কলকাতায় চলে আসি। ওনি আমাকে শহর ঘুরিয়ে দেখাবেন। যাক মনে সাহস পেলাম। কেউ যেহেতু সাথে যাচ্ছে না তাই একাই যাব। কবি বলেছেন, তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে।
এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এসে হাজির হল। আম্মাকে রাজি করাতে হবে। আমি একা একা যাব এই কথা শুনে আম্মা প্রথমেই বলে দিল যাওয়া যাবে না। একা একা অন্য দেশে যাওয়া রিস্ক, আম্মার টেনশন হবে ইত্যাদি কত কথা। তারপর ধীরে ধীরে কয়েকদিনে আম্মাকে বুঝাতে সক্ষম হলাম।
ট্রেন, বিমান ও বাস এই তিন মাধ্যমে কলকাতায় যেতে হবে। যেহেতু একা যাচ্ছি বাসে যাব না। বাকি থাকলো ট্রেন-বিমান। ঠিক করলাম যাওয়ার সময় ট্রেনে যাব। আসার সময় বিমানে আসব। ঠিক ভাবনা সেই কাজ মেনে পরলাম ট্রেন বিমানের টিকেট কাটার মিশনে।
কলকাতায় যাওয়া ট্রেনের টিকেট কিভাবে কাটব? নিয়ম কি কিছুই জানি না। তারপর একটি চলে গেলাম কমলাপুর স্টেশনে। সবগুলো নিয়ম জেনে কিনে ফেললাম ট্রেনের টিকেট। কিভাবে কলকাতায় ট্রেনে যাওয়া টিকেট কাটবেন? নিয়ম কি কি তা নিয়ে বিস্তারিত লিখব আগামী পর্বে।
এবার “বাংলা এক্সপ্রেস” আপনার মোবাইলে, ডাউনলোড করুন বাংলা এক্সপ্রেস ফ্রি মোবাইল অ্যাপ