গোসাবা : বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী, সেই কারণেই বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপি কর্মীদের কে মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার গোসাবা থানার বিপ্রদাসপুর পঞ্চায়েতের চন্ডীপুর গ্রামে। অভিযোগ তৃণমূল দুষ্কৃতিদের মারে এক মহিলা সহ তিন জন গুরুতর জখম হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। আক্রান্তরা হল স্বপন দাস,বাদল দাস,শম্পা দাস।
শুধু মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়াই নয়, স্বপন দাস ও বাদল দাস নামে ঐ বিজেপি কর্মীর বাড়িও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ অভিযোগের তীর অবশ্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে আক্রান্তরা গোসাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পুলিশ গেলে উল্টে ৩০৭ ধারায় কেস দিয়ে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করে। যদিও আক্রান্ত বিজেপি কর্মী স্বপন দাস ও বাদল দাস গত মঙ্গলবার আলিপুর আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় বিজেপি দল করেন। কার্যত এলাকায় তারা বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবেই পরিচিত। এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন সকলেই।সোমবার সকালে বেশ কিছু সরকারী আধিকারীক চন্ডীপুর গ্রামে যান কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সার্ভে করতে।
অভিযোগ গ্রামের মধ্যে বিজেপি কর্মীদের বাড়ী গুলিতে সরার্ভে না করায় সরকারী আধিকারীকদের কাছে জানতে চান স্বপন দাস ও বাদল দাস। সরকারী আধিকারীকদের পিছনে থাকা বেশ কিছু তৃণমুল আশ্রিত দুষ্কৃতি লাঠী-সোডা নিয়ে অাচমকা দুপুরে চড়াও হয় স্বপন ও বাদল দাসের উপর । অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাত থেকে বাড়ীর মহিলারা আক্রান্তদের উদ্ধার করতে গেলে তাদের কে শ্যামল রাউৎ,সমীর রাউৎ,রঞ্জন নায়েক,পঞ্চানন দাস ব্যাপক মারধোর করে এবং বাড়ী ঘর ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
বিজেপি নেতা সঞ্জয় নায়েক বলেন “কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সার্ভের জন্য গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে যেখানে যাওয়ার কথা,সেখানে বাছাই করে বিজেপি কর্মীদের বাড়ী গুলো বাদ দেওয়া হচ্ছিল,সেই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পিছনে থাকা তৃণমূল দুষ্কৃতিরা আমাদের বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করে ব্যাপক মারধোর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবী এটা ওদের পারিবারিক গন্ডগোল,তৃণমূলের নামে বদনাম করে ফায়দা তুলতে চাইছে।