চারিদিকে সবুজ ঘেরা বাগানে ভর্তি বিদ্যালয়। ভেতরে ই-লার্নিং এর মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা। কিছু বাধা বিপত্তি কাটিয়ে উঠলেই মডেল স্কুল হিসেবে তকমা পেতে পারে কেশিয়াড়ির এই প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই বিদ্যালয় অরঙ্গাবাদ বিবিএম প্রাথমিক বিদ্যালয়। কেশিয়াড়ি বাসষ্ট্যান্ড থেকে ঠিক অদূরে বিদ্যালয় পুরোপুরি সাজানো গোছানো। পেয়েছে শিশু মিত্র পুরস্কার ও। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার মান বাড়াতে আজ থেকে চালু হয়েছে ই-লার্নিং এর ব্যবস্থা অর্থাৎ বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার প্রজেক্টরের মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা। যে কারণে দিনের পর দিন ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে বলেও মত প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও বিদ্যালয়ে আসার প্রবণতা বেড়েছে ওই এলাকার স্কুল ছুট ছাত্র-ছাত্রীদের।সামান্য কয়েকটি পরিকাঠামোর অভাব কাটিয়ে উঠতে পারলে বিদ্যালয় পরবর্তী দিনে মডেল স্কুল হিসেবে পরিগণিত হবে বলে দাবি প্রধান শিক্ষকের।
বিদ্যা ধরেছে ২৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রী। শিক্ষক সংখ্যা ও সন্তোষজনক।গত বছরের ছাত্র সাথে তুলনায় এ বছরের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১০ জন বেড়েছে।বিদ্যালয় রয়েছে বিশেষ কয়েকজন মনীষীদের নামে ফুলের বাগান রয়েছে পদ্ম এবং শালুক ফুলের গাছ। বিদ্যালয়ে চলছে নানান ভাবে নির্মল বাংলার প্রচারও। ছাত্র-ছাত্রীদের মনে রাখার এবং জানার উদ্দেশ্যে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে লেখা আছে বিভিন্ন বিশেষ দিনের নাম। প্রত্যেকটি ক্লাসরুমে মডেল ক্লাস। রুমে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির আঁকা ছবি।রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের দুপুরবেলা জন্য মিড ডে মিল রুম।মডেল স্কুল হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধান শিক্ষকের পাখির চোখ মিড ডে মিল রুমের উন্নতিকরন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্নচন্দ্র দন্ডপাট জানিয়েছেন-“বেশ কয়েকটি ত্রুটিপূর্ণ করতে পারলে বিদ্যালয় কে মডেল স্কুল হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। বিদ্যালয় প্রয়োজন একটি অডিটোরিয়াম এবং একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার মান বাড়াতে সাহায্য করবে। তথাপি বিদ্যালয় এর ই-লার্নিং ব্যবস্থা ফুল ছুট ছাত্রছাত্রীদের দিকে আনতে সচেষ্ট হয়েছে আমরা চাই এর আরো উন্নতি করন।”
সামনে বেশ কয়েকটি বাধা সে সব বাধা কাটিয়ে উঠলে প্রত্যন্ত এলাকার এই অরঙ্গাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে উঠবে মডেল স্কুল । তকমা পাবে সেরার সেরা শিরোপা।
এবার “বাংলা এক্সপ্রেস” আপনার মোবাইলে, ডাউনলোড করুন বাংলা এক্সপ্রেস ফ্রি মোবাইল অ্যাপ