কেরলের কোঝিকোড় জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় তিনদিন আগে থেকেই ত্রান বিতরন শুরু করেছিল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। তিন দিন আগে থেকে সেখানে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছিল। আজ শনিবার সকাল থেকেই কোজিকোড় ও ওয়েনাড দুটি জেলার কয়েক হাজার মানুষকে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া শুরু করল সঙ্ঘের সন্নাসী ও স্বেচ্ছা সেবকরা। কদিনের টানা বৃষ্টিতে কেরলের কোচি বিমান বন্দর জলমগ্ন। ট্রেন যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন এলাকায়।কোঝিকোড় জেলার পুঝিমুদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বড় ক্যাম্প করে ত্রান দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কোট্টাতারা, ভিত্রি তালুক,কাপ্পু মন্ডম, বেলা ওন্না সহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকলক্ষ মানুষ জলবন্দী। এইসব এলাকায় দুর্গত মানুষদের উদ্ধার কাজের পাশাপাশি তাদের মধ্যে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরন শুরু করেছে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্নাসী ও সেচ্ছাসেবকরা।
সংঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ বলেন,কলকাতা ছাড়াও হ্রায়দাবাদ, ত্রিবান্দম ও কন্যাকুমারি ভারত সেবাশ্রম সংঘ থেকে শুকনো খাবার এলাকায় পাঠানো হয়েছে।কোজিকোড় জেলার পাওলি সরকারি স্কুলে রান্নার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকে রান্না করা খাবার নৌকোয় করে নিয়ে গিয়ে কোজিকোড় জেলার বিভিন্ন গ্রামে ও সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ওয়েনাড জেলার গ্রাম গুলিতেও রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বন্যা কবলিত মানুষদের প্রয়োজনীয় জামা – কাপড়ও বিতরন করা হচ্ছে। তিনি নিজে হ্রায়দাবাদ থেকে খাদ্য সামিগ্রী ঘটনাস্থলে পাঠানোর কাজ তদরকি করছেন।তিনি বলেন, ভারত সেবাশ্রম ই প্রথম বাড়ি বাড়ি জলবিন্দী মানুষদের রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করল। যতদিন না বন্যা কমে এই কাজ চলবে।সমস্ত প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে এত দ্রুত দুর্গত মানুষদের কাছে ত্রান পৌঁছে দেওয়ায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্নাসী ও স্বেচ্ছাসেবককে ধ্যন্যবাদ দিয়েছেন সে রজ্যের সরকার। তারাও সবরকম সহযোগীতার আস্বাস দিয়েছেন।
এবার “বাংলা এক্সপ্রেস” আপনার মোবাইলে, ডাউনলোড করুন বাংলা এক্সপ্রেস ফ্রি মোবাইল অ্যাপ