কলকাতা: রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জি তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে অসমের ৪০ লক্ষেরও বেশি বাসিন্দার নাম। এই ঘটনায় গোট দেশ জুড়ে রাজনৈতিক তরজা এখন তুঙ্গে।পশ্চিমবঙ্গের মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অাগেই অভিযোগ করেছেন নাগরিক পঞ্জি তালিকা তৈরীর নামে অসম থেকে বাঙালি বিতাড় নের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি শাসিত অসম সরকার। গোটা দেশে অসম ইস্যুকে জাতীয় ইস্যুতে পরিনত করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে মমতার এই ভূমিকাকে প্রশংসা করলেও নাম বাদ পড়া মানুষদের রক্ষা করতে তিনি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উদ্বাস্তু আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস।
শুক্রবার সকালে কলকাতার রাসবিহারী এভিনিউয়ে রাসমনি ভবনে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন উদ্বাস্তু আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত উত্তম সরকারও। রাসমনি পরিবারের বর্তমান বংশধর তথা রানি রাসমনির নাতবউ শ্যামলী দাসের সঙ্গে অসমের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। শ্যামলী দাস জানান, অসমের যে সব এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষেরর নাম এন আর সি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে সেই সব এলাকা ছিল রাসমনি পরিবারের।সেখারকার বাসিন্দাদের ওই নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে না অসম সরকার। যে করেই হোক এই অপচেষ্টা রুখতে হবে।অসমের নাম বাদ পড়া মানুষের স্বার্থে প্রয়োজনে আন্দোলন সংগঠিত করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিন সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই অসমের বিজেপি পরিচালিত সরকার এই চক্রান্তে নেমেছে।ভারতে বসবাসকারী সকল উদ্বাস্তু যাতে নাগরিকত্বের স্বীকৃতি পায় তা সরকারের দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এমনই আইন হওয়া উচিত।এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়ে আসছেন বলে জানান তিনি।অসমের মানুষের পাশে রাসমনি পরিবার ও শ্যামলী যে ভাবে এগিয়ে এসেছেন তার ভূয়শী প্রশংসা করেন সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস।একসঙ্গে লড়াইয়ে তিনিও অাছেন বলেও এদিন জানিয়ে দেন তিনি।
এবার “বাংলা এক্সপ্রেস” আপনার মোবাইলে, ডাউনলোড করুন বাংলা এক্সপ্রেস ফ্রি মোবাইল অ্যাপ