রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে অসমের ৪০ লক্ষেরও বেশি বাসিন্দার নাম।অবশ্য নতুন করে নাম তোলার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।কিন্তু অসমে বসবাসের যে সব প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে তা সবার পক্ষে দেওয়া কঠিন।ফলে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সেখানকার কয়েক লক্ষ মানুষ। কি ভাবে ভিটে মাটি বাঁচাবেন, কি ভাবেই বা নাগরিকত্বের প্রমান দেবেন তা ভেবে ভেবে ঘুম ছুটেছে তাঁদের।এই কঠিন সময়ে নিজেদের অস্তিত্বের শিকড় খুঁজতে রাণি রাসমণি পরিবারের দ্বারস্থ হলেন প্রায় শ’খানেক অসমের বাঙালি বাসিন্দা।বেঙ্গলি ইউনাইটেড ফেডারেশন অফ অসমের সদস্যরা কলকাতায় রাসবিহারী এভিনিউয়ে রাসমনি ভবনে গিয়ে দেখা করেন বর্তমান রানি রাসমনির বংশধর শ্যামলী দাসের সঙ্গে।
ওই সংগঠনের আহ্বায়ক শুভেন্দু মোহন তালুকদার নিজেদের দুর্দশার কথা খুলে বলেন শ্যামলীদেবীকে।অসমের নাগরিক পঞ্জি তালিকা থেকে নাম বাদ পড়া মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রানি রাসমনির বর্তমান এই বংশধর।শ্যামলী দাস বলেন, অসমের বরাক সহ বিভিন্ন এলাকা রানি রাসমনির ছিল।সেখান থেকে এই ভাবে কাউকে উচ্ছেদ করা যায় না।এর আগে বাংলার বিভিন্ন এলাকার জেলেদের জমির সত্বাধিকার তুলে দিয়েছেন শ্যামলীদেবী।তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন জমির দলিল।অসমের বাসিন্দাদেরও একই ভাবে জমির দলিল তুলে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, অসমের ৪০ লক্ষের বেশি বাসিন্দার নাম নাগরিক পঞ্জি তালিকা থেকে নাম পড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অসমের মু্খ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলের শ্যামলী দাস।এবার অসমের বাসিন্দাদের অনেকেই কলকাতায় এসে দেখা করলেন তাঁর সঙ্গে।এবং আলোচনায় খুশি তাঁরা।
সঙ্গে ছিলেন অল ইন্ডিয়া নমশূদ্র বিকাশ পরিষদের সভাপতি মুকুল চন্দ্র বৈরাগী। তিনি জানান, অসমের মানুষ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মহান মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন রানিমা।আবারও কলকাতায় এসে শ্যামলীদেবীর সঙ্গে দেখা করে অসমের বিপদগ্রস্ত মানুষের বিপদ কাটানোর চেষ্টা করব।
এবার “বাংলা এক্সপ্রেস” আপনার মোবাইলে, ডাউনলোড করুন বাংলা এক্সপ্রেস ফ্রি মোবাইল অ্যাপ