স্বাধীনতা পালনের পাশাপাশি সকাল থেকেই দেদার বিক্রি হচ্ছে জাতীয় পতাকার রংয়ের নানান ডিজাইনের পোশাক।


বুধবার,১৫/০৮/২০১৮
1531

পিয়া গুপ্তা ,কালিয়াগঞ্জ ---

প্রতি বছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় স্বাধীনতা দিবস। আর এ সবকিছুর মূলেই রয়েছে স্বাধীনতার চেতনাকে উজ্জীবিত রাখা। জাতীয় চেতনাকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে পোশাকও এখন অন্যতম একটি মাধ্যম।
স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র ভারতের জাতীয় পতাকা বিক্রির পাশাপাশি কিছু দিন আগে থেকেই বিক্রি হচ্ছিল জাতীয় পতাকার রংয়ের নানান ডিজাইনের কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গহনা ।

নিজেদের দেশাত্মবোধ ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতা দিবসের নান্দনিক ডিজাইন অলঙ্কার ও রঙের পোশাক তৈরি করে শোরুমগুলো সাজিয়ে তুলেছে ফ্যাশন হাউজগুলো। স্বাধীনতা দিবসের ছোঁয়ায় রাঙাতে নারী, পুরুষও শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে পোশাক। পোশাকের মধ্যে নারীদের জন্য রয়েছে শাড়ি, টপস, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তা ও ওড়না। আর ছেলেদের জন্য টি-শার্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা, উত্তরীয় ইত্যাদি। শিশুদের জন্য এনেছে শাড়ি, ফতুয়া, ফ্রক, টি- শার্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা ও স্কার্টসহ নানা ধরনের পোশাক।এছাড়া ও আজ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরুকরে বিভিন্ন সরকারি অফিস, ক্লাব কিংবা প্রতিটি বাড়িতেও উড়ানো হচ্ছে জাতীয় পতাকা। সারা বছর না হলেও স্বাধীনতা দিবস এলেই পতাকার চাহিদা বাড়ে। দিবসটি উদযাপনকে কেন্দ্র করে পতাকার চাহিদা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি চোখে পড়েছে উত্তর দিনাজপুরে।

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ঘুরে ও পতাকা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই চোখে পড়েছে। স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে কালিয়াগঞ্জের দোকানগুলো থেকে পতাকা কেনার আগ্রহ রয়েছে স্থানীয়দের। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,। নিয়ম মেনে পতাকা তৈরি ও বিক্রি করার বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছে প্রশাসন। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেলো অন্য ছবি। ‘দ্য ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস’-এর কোডকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিয়ম ভেঙেই পতাকা বিক্রি হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায়। ‘দ্য ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস’-এর নিয়মে মিলের কাপড়, প্লাস্টিক ইত্যাদি জিনিসের পতাকা তৈরি করে বিক্রি করা নিষিদ্ধ। তাছাড়া বেলুন জাতীয় জিনিসেও পতাকা তৈরি বা অংকন করাও নিষিদ্ধ। নিয়ম অনুযায়ী, খাদি বা হাতে তৈরি কাপড় ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে পতাকা বানানো যায় না। তার নির্দিষ্ট মাপও আছে। কিন্তু ছোট বড় সব মাপেরই পতাকা দেখা গেলো এসব দোকানগুলোতে। খাদির পতাকার দামের থেকে ‘গার্ডেন’ কাপড়ে পতাকার দাম কিছুটা কম। তাই এর চাহিদাও বেশি। ‘খাদি গ্রামোদ্যোগ ভবন’-এর দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক একটি খাদির পতাকার দাম ৫০০-৭০০ রুপি। আর রেশমের পতাকা তিন থাকে চার হাজার রুপি। তবে বাইরের দোকানগুলোতে ১৫ রুপি থেকে ১৫০ রুপির মধ্যে দেদার বিকোচ্ছে পতাকা।দোকানের এক মালিক জানালেন, ১৫ আগস্টের সকালে পতাকা ও কাপড়ের চাহিদা বেশ ভালোই ছিল ।

কয়েক বছর ধরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তৈরি করা কাপড় ও পতাকা তৈরির কাজটা খুবই আন্তরিকতার সাথে করে যাচ্ছেন আমাদের ফ্যাশন ডিজাইনারেরা। এ বছরও নিজেদের দেশাত্মবোধ ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতা দিবসের নান্দনিক ডিজাইন ও রঙের পোশাক তৈরি করে শোরুমগুলো সাজিয়ে তুলেছে ফ্যাশন হাউজগুলো। স্বাধীনতা দিবসের ছোঁয়ায় রাঙাতে নারী, পুরুষও শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে পোশাক। পোশাকের মধ্যে নারীদের জন্য রয়েছে শাড়ি, টপস, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তা ও ওড়না। আর ছেলেদের জন্য টি-শার্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা, উত্তরীয় ইত্যাদি। শিশুদের জন্য এনেছে শাড়ি, ফতুয়া, ফ্রক, টি- শার্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা ও স্কার্টসহ নানা ধরনের পোশাক। দিবসভিত্তিক আয়োজনে ফ্যাশনেবল পোশাক সংগ্রহ করতে তরুণ-তরুণীদের মধ্যেই আগ্রহ বেশি দেখা যায়। কালিয়াগঞ্জের সারদা দেবী কলেজ অফ এডুকেশন এর ছাত্র দিপাঞ্জন আজ কালিয়াগঞ্জের একটি দোকান থেকে লাল-সবুজের একটি পাঞ্জাবি কিনছিলেন। দিপাঞ্জন জানালেন, পোশাকটি কিনছেন স্বাধীনতা দিবসে কলেজে পরার জন্য। তার মতে, স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে আমাদের হতে হবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কারণ স্বাধীনতা আমাদের দিয়েছে নিজস্ব মাতৃভূমি, একটি পতাকা ও সার্বভৌমত্ব। লোক দেখানোর জন্য নয়, অন্তর থেকে ধারণ করতে হবে এর গুরুত্ব ও অবদান। পাপিয়া বিশ্বাস একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তিনিও এসেছেন কেনাকাটা করতে। পাপিয়া জানান , ‘স্বাধীনতা দিবস’ উপলক্ষে বিকেলের প্রোগরাম এর জন্য পোশাক কিনতে এসেছি। নিজের ও পরিবারের জন্য। গেরুয়া -সাদা-সবুজ পোশাকই তার প্রথম পছন্দ বলে জানান। স্বাধীনতার পোশাক বিক্রেতা উত্পল সাহা

বলেন, শুধুব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, আমরা বিষয়টিকে দেখি দেশাত্মবোধ ও দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মনোভাব নিয়ে। পোশাকের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের প্রেরণাকে তুলে ধরা হয়। কাপড়-ই- বাংলা সব সময় দেশীয় সংস্কৃতিকেই বেশি মূল্যায়ন করে। ফলে সব ধরনের উৎসব ও বিভিন্ন দিবসে পোশাকে নিজেদের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করে।

তেরঙা পতাকা দেশের ঐতিহ্য, সংষ্কৃতি ও গর্বের প্রতীক। গেরুয়া, সাদা, সবুজ রঙগুলি ত্যাগ, শক্তি ও উন্নতির প্রতীক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। আর তার মাঝে বসা অশোক চক্র ‘ধর্ম চক্র’ হিসাবে পরিচিত। তাই আজ বর্তমান এই রং গুলোর চাহিদা বেড়েই চলেছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট