বাতাসে তখন তাজা বারুদের গন্ধ, কালো ধোয়ায় আকাশ ঢেকে গেছে। চারিদিকে নিস্তব্ধ, নিত্যকার দিনের রোজনামচা ছিল এটি। সালটা ১৯৪২, ইংরেজদের অত্যাচারে জর্জরিত ভারতবাসী, শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ। প্রতিদিনের লাঞ্চনা বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়ার অন্তিম প্রচেষ্টা। বিনয়, বাদল, দীনেশ’ মাস্টারদা সুর্যসেন মহান দেশপ্রেমিক দের আন্তবলিদান এর মধ্যে দিয়ে এসেছিল ভারতের আজকের এই দিন। যখন চারিদিকে হানাহানি বড়োলাট দের অত্যাচারে অসহায় কৃষক শ্রেণি, খাজনা দিতে না পাড়ায় চলে নির্মম অত্যাচার।
মহান দেশপ্রেমিক সুভাষ চন্দ্র বোস আহ্বান জানান দেশের যুব সম্প্রদায়কে দেশের কাজে এগিয়ে আসার জন্য।যার রক্তচক্ষুর কাছে পরাজিত হয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। যার অসীম সাহসের কাছে হার মেনেছিল ব্রিটিশকোম্পানি। যার স্লোগান গুলি দাবানল জ্বালিয়েছিল তরুনদের বুকে। শুরু হল নতুন লড়াই। যিনি আমরন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এর সাথে জড়িয়ে ছিলেন আরো অনেক বিপ্লবী। বিপ্লববাদ এর কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য।
আজ ক্ষুদিরাম, থেকে শুরু করে মাতঙ্গিনী হাজরা সহ প্রমুখ ব্যাক্তিগন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এর সাথে যুক্ত ছিলেন।যাদের আন্তবলিদানের মধ্যে দিয়ে আমরা আজ স্বাধীনতা লাভ করেছি।আজ বিশেষ দিনে তাদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা। রবীন্দ্রনাথ এর স্বদেশী সংগীত গুলি আজো মনের কোনে বাজে প্রতিটা ভারতবাসীর। এই মহান দেশের জাতীয় সংগীত তিনিই রচনা করেছিলেন। তিনি ভেদাভেদহীন সমাজের কথা বলেছিলেন।নতুন ভারত এর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আজ মহান দিনে কুর্নিশ জানাই সেই সকল মহান দেশপ্রেমিক দের যারা আজও অমর।যারা আজও বেচে আছেন প্রতিটা ভারতবাসীর হৃদয়ে!!
এবার “বাংলা এক্সপ্রেস” আপনার মোবাইলে, ডাউনলোড করুন বাংলা এক্সপ্রেস ফ্রি মোবাইল অ্যাপ