কাল
হঠাৎ পায়ে টান অনুভব করি,
ঠিক যেন শেকলের মতো।
নিজের পায়ের নিচেই পিষে
এসেছি কয়েক প্রজন্মের আগল।
আজ হঠাৎ ই টান। শেকল ছেঁড়ার
গান গাইতে দাও এবার…
দুপায়ের নীচে সময়ের হেরফের,
ডাইনে বাঁয়ে ঘুরে ঘুরে আসে দুঃসময়।
মনে জমা খেদ ঝরে পড়ে বাঁকা কলমে।
তোমার চোখের বাঁকা চাহুনীতে মিশে
থাকে একরাশ ঘৃণা। যা দিয়ে পুড়িয়ে চলেছ আমায়…
এই হাস্যকর জীবন আমার কাছে ছিল রং মাখা
সং এর সমতুল। বহুরূপী সত্ত্বার গলা টিপে মারতে
হয়েছে। জ্বলন্ত ভিসুভিয়াসের গলিত লাভা শীতলতার বুনটে চাদর জড়িয়েছে শরীরে!
নিজেকে নিয়ে গিয়েছি স্বপ্নপুরী আটলান্টিসে
বাস্তবে হারিয়েছি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের
রহস্যময় আবর্তে। নেই নেই কোন পথ নেই।
যুক্তি সেখানে মুক্তির দাবিতে অনশন করে।
মূল্যবোধ হয়ে আসে উদ্বায়ী। না না কোন
কলম্বাসের কম্পাস নয়। লাল টিকা দেখাবে পথ…
সহস্র যুগের অবসানে, হয়তো কোন এক সকালে,
মাটি খুঁড়ে পাবে শেকলে জড়ানো এই স্তব্ধ এই
এই দুটি পায়ের কঙ্কাল। ইতিহাস ছাপা হবে বইয়ের
পাতায়। লেখা হবে না কেবল ফুপিয়ে কাঁদার সেই কঠিন বাস্তবতা…