ইয়াসিন পাঠানের পাশে কারা আছে আমরাও কি থাকতে পারি না


সোমবার,১৩/০৮/২০১৮
569

ফারুক আহমেদ---

ইয়াসিন পাঠান ফোনে জানালেন, “ডাঃ অরিন্দম মুখোপাধ্যায় ডিপুটি সুপার এসএসকেএম বাঙ্গুর হাসপাতাল ইয়োরলজি বিভাগ তিনি যে অশব্য ব্যবহার করেছিলেন তা আমি কোনও দিন ভুলব না।”

আমরা ইয়াসিন পাঠানের পাশে আছি। বাংলা পাশে আছে। মুখ্যমন্ত্রী পাশে আছেন। তবুও ডাঃ অরিন্দম মুখোপাধ্যায় আর কবে মানবিক হবেন? হাসপাতাল গুলোতে মানবিক ডাঃ বাবুরাই সুপারেরর দায়িত্ব নিক এবং সরকার দায়িত্ব দিক। তবেই সাধারণ মানুষ মনে হয় একটু স্বাস্থ্য সেবা পেতে পারবে সহজেই।

ডা: রেজাউল করীম লিখেছেন, “ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম ইয়াসিন পাঠানের অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই জানা গিয়েছে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার কথা।

মেদিনীপুরের পাথরা গ্রাম থেকে নিজের অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রখ্যাত মন্দির সংরক্ষক, ভারত সরকারের ‘কবীর পুরস্কারে’ সন্মানিত ইয়াসিন পাঠান। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতেই জানা গিয়েছে, এক তুচ্ছ কারনে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের এক চিকিৎসক এবং এক পদাধিকারী এই রোগীর চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দেন। চিকিৎসা না পেয়ে শনিবারই ভগ্ন হূদয়ে অসুস্থ কন্যাকে নিয়ে তিনি ফিরে গিয়েছেন।
ইয়াসিন পাঠানের মতো একজন মানুষ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, এটা জানার পর ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম ইয়াসিন পাঠানের অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওনাকে কলকাতায় এনে যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে এক নামী হাসপাতালে। ইয়াসিন পাঠানও রাজি হয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব ইয়াসিন পাঠানের মেয়ের চিকিৎসা শুরু হবে। চিকিৎসকদের কাছে মানবিকতার থেকে বড় আর কিছুই হয়না। সেই প্রশ্নেই ফোরাম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

প্রবল প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেও নিজের অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে সেই মেদিনীপুর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে এসেছিলেন বাধ্য হয়েই। নিজেও অসুস্থ ইয়াসিন পাঠান। মেয়ে স্নায়ুরোগে আক্রান্ত। মেদিনীপুরেই চিকিৎসা চলছিলো। মেদিনীপুরের চিকিৎসক ডাঃ পি সি ঘোষ, ইয়াসিন পাঠানের মেয়েকে এসএসকেএম-এর নিউরো-চিকিৎসকের কাছে রেফার করেন। শনিবার নিউরো বিভাগের ওপিডিতে মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন।
ইয়াসিন পাঠানের অভিযোগ, এসএসকেএম-এর নিউরো ওপিডিতে শনিবার কর্মরত চিকিৎসক তাঁর মেয়ের চিকিৎসা না করেই ফিরিয়ে দিয়েছেন। সহকারি সুপারকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবুও মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি।

ইয়াসিন জানালেন, “মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ওখানেই যা হোক চিকিৎসা করাবো। আর আসবো না।”

ফিরে যাওয়ার মুখে ইয়াসিন পাঠান শুধু বলেছেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতাল সম্পর্কে এই দুঃখজনক কাহিনিটা জানাতে চাইছি। আমার অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতাল এসএসকেএম- এসেও, চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে আসতে হলো। এর দায় কার? আমার কি কোনও ভুল হয়েছে অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম-এ এনে?
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি, তদন্ত চাইছি, মেয়েকে সুস্থ করতে চাইছি।
কোনও অন্যায় দাবি করছি কি?”

অনিমিক পাত্র লিখেছেন,
মহম্মদ ইয়াসিনপাঠান, এই মানুষটির কথা শুনলে গল্প মনে হয়। মেদিনীপুর শহরের অদূরে কংসাবতী নদীতীরে ‘পাথরা’ নামে একটি গ্রাম আছে, সেখানে আছে নবম শতকে নির্মিত ৩৪ টি মন্দির। স্বল্প বিদ্যার মানুষটি সারা জীবন ধরে এদের বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন,পাদপ্রদীপের আলোয় এনেছেন, আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’র কাছে দরবার করেছেন, স্থানীয় মানুষকে এর ঐতিহাসিক গু্রুত্ব সম্বন্ধে অবহিত করার নিরলস প্রচেষ্টা করেছেন, গ্রামে বিদ্যুৎ ও পাকা রাস্তা এনেছেন।

ইয়াসিন পাঠান এখন গুরুতর অসুস্থ। অপারেশনের জন্য প্রায় চার লক্ষ টাকা দরকার। ওঁকে সামান্য সাহায্য করতে পারলে মানবসন্তান হিসেবে আমরা গর্বিত হবো।”

ইয়াসিন পাঠান

YEASIN PATHAN

SBI A/C : 11161803015

Medinipur Branch, Code-132

Mobile Number: 9932785126

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট