হাওড়া: হাওড়া জেলার শ্রেষ্ঠ বীরাঙ্গনা রূপা প্রামাণিক কন্যাশ্রী প্রকল্পে এবছর এ্যাওয়ার্ড পাবে হাওড়া শরৎ সদনে। এই রূপা প্রামাণিক হত দরিদ্র পরিবারের একমাত্র কন্যা সন্তান বাবা দিন মজুর বাঙালি বাড়িতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সংসারের জন্য লেদমেসিনে কাজ করেন খোকন প্রামাণিক মা মঙ্গলা প্রামাণিক দিবারাত্রি পরিশ্রম করেন জরী বা আড়ীর কাজ করেন। বাড়ি হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া থানার উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের হাটগাছা।
১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ললীতাগড়ীতে প্রামাণিক পাড়ায় একচিলতে কুঁড়ে ঘরে আজ থেকে ১৪ বছর আগে জন্ম গ্রহণ করে রূপা প্রামাণিক। জন্মের পর সাভাবিক ভাবে হামাগুড়ি দিতো কিন্তু মাত্র রূপার মুখে ভাতের পর বাড়ির লোকজন দেখে বুঝতে পারেন তাদের স্নেহের রূপা দাঁড়াবার চেষ্টা করছে কিন্তু দাঁড়াতে পারছেনা । প্রতি বেশি দের পরামর্শে শুরু হলো চিকিৎসা অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারের সদস্যদের মাথায় হাত। বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে তাদের এক মাত্র সন্তান। তখন এক স্বেচ্ছাসেবকের পরামর্শে হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া থানার কাটিলায় আশা ভবন সেন্টারে যোগাযোগ করে। তাদের সহায়ক কেন্দ্রে চলে চিকিৎসা ও পরামর্শ।
পরে কাটিলায় আশা ভবন সেন্টারে আবাসিক হিসেবে ৬ বছরের মাথায় ভর্তি হয় রূপা প্রামাণিক এরপর রূপা প্রামাণিকে চিকিৎসা পদ্ধতি ও পরিচর্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়।আশা ভবন সেন্টারের পক্ষ থেকে করাতবেড়িয়া হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে বর্তমানে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। রূপা একদিকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা দিয়ে নিজের সন্তানের মতো দিবারাত্রি আগলে রেখেছেন আশা ভবন সেন্টারে সম্পাদীকা। বহু পুরষ্কারে ভূষিত মমতা ময়ী শুকেষী বাড়ুই তার সঙ্গী দের নিয়ে রূপা প্রামাণিক ক্রমশ একদিকে শিক্ষা ও খেলা ধুলা করতে করতে শটপুটে দক্ষতা অর্জন করে ১৭ তম প্যারা অ্যাথালেটিকে জাতীয় স্তরে তৃতীয় স্থান অর্জন করে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে এরপর বহু সম্বর্ধনা পেয়েছে রূপা প্রামাণিক ।
আশা ভবন সেন্টারের ডিরেক্টর জন মেরী বাড়ুই জানান তিনি গতকাল জেলার বিভাগিয় প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ফোনে জানতে পারেন তাদের স্নেহের রূপা প্রামাণিক এবছর হাওড়া জেলার শ্রেষ্ঠ বীরাঙ্গনা পুরষ্কার পেতেচলেছে আশা ভবন সেন্টারের কর্মীরা ও রূপার পরিবারের সদস্যরা এখন আনন্দে মাতোয়ারা।