নিজের জন্মদিন কোলকাতার পথশিশু ও প্রবীণ নাগরিকদের সাথে পালন করলেন ভাঙড়ের সুমন


বৃহস্পতিবার,০৯/০৮/২০১৮
876

সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে---

আর পাঁচজনের মতো নয়,নিজের জন্মদিন পালন করলেন একটু অন্যরকম ভাবে।জন্মদিন মানে বাড়ীতে কেক কাটা,খাওয়া দাওয়ার ইলাহি আয়োজন।আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা আর এখানে ওখানে ঘোরা।কিন্তু না ,চিরাচরিত সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে নিজের জন্মদিন পালন করে নজির গড়লেন সরকারি কর্মচারি ভাঙড়ের সুমন দাস।

কোলকাতার পার্কসার্কাস পোস্ট অফিসের কর্মি সুমন দাসের ৩০তম জন্মদিন ছিল এবছর।তিনি শুধু চাকরির মধ্যে নিজেকে আটকে রাখেননি।নিজে হাতে গড়ে তুলেছেন কলামন্থন একাডেমি অব ফাইন আর্টস।যে একাডেমিতে নৃত্য,সঙ্গীত,আবৃতি ও অঙ্কণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।তিনি নিজেই হাতে কলমে পাঠ দেন ছাত্র ছাত্রীদের।তার হাতে গড়া প্রচুর ছাত্র ছাত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

সুমন দাসের তত্বাবধানে চলো পাল্টাই নামে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ও চলে।এই সংগঠন এলাকার দরীদ্র,অসহায় মানুষের পাশে সর্বদা নিয়োজিত প্রাণ হয়ে কাজ করে চলেছে।৩০তম জন্মদিনে তাই বাড়ীতে কেক কেক কেটে উৎযাপনের পর সোজা কোলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা।সঙ্গে ছিল চলো পাল্টাইয়ের পুরো টিম।সেখানে গিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের এবং পথশিশুদের সাথে ভাগাভাগি করেন জন্মদিনের আনন্দ।নিজের হাতে তাদের মুখে তুলে দেন জন্মদিনের কেক।পথ শিশুদের তুলে নেন কোলে।তাদের মধ্যে বিতরণ করেন চকলেট,ক্যাটবেরি,বেরি,ললিপপ প্রভৃতি।

বৃদ্ধাশ্রমের বয়স্ক নাগরিক ও পথশিশুদের সঙ্গে নজিরবিহীন ভাবে নিজের জন্মদিন পালন সম্পর্কে সুমন দাস বলেন,সমাজে সবচেয়ে অসহায় হলো এরা।একদিকে পথশিশু,অপরদিকে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা প্রবীণ ব্যাক্তিরা।তাই আমার মনে হলো আমার জন্মদিনটা এদের সঙ্গেই কাটাবো।প্রতিদিন কোলকাতার পার্কসার্কাস পোষ্ট অফিসে কর্মসূত্রে যাতায়ত থাকায় ওদের জীবন যন্ত্রণা আমাকে পিড়া দিত।তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম।ওরা অনেক খুশি হল,আশীর্বাদ করলো।যেটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা।সুমন দাস আর ও বলেন,সমাজের যারা বৃত্তশালি ব্যাক্তি তাদের এরকম ভাবে এই অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানো উচিৎ।তারাও তাহলে একটা সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে পারবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট