এক নাবালিকাকে কাজের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসে আটকে রেখে পাচার করার অভিযোগ উঠলো অচেনা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার জনকল্যান মোড় এলাকায়। বাড়িতে আটকে রেখে মারধরের পাশাপাশি তাকে ধর্ষনের চেষ্টাও করে অভিযুক্ত।শনিবার রাতে কোনরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে ওই নাবালিকা।অবশেষে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
নদিয়া জেলার চাপলা থানার পারুইগাছি গ্রামের বাসিন্দা বছর সতেরোর ওই কিশোরীর উপর তার সৎ মা সব সময় অত্যাচার করে মারধোর শারীরিক নির্যাতন করতো। দিন কয়েক আগে মারধোর করে দীপা হালদার নামে ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।বাড়ি থেকে বেরিয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে শিয়ালদহ স্টেশনে চলে আসে।সেখানে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হলে তাকে সে সব খুলে বলে।ওই কিশোরীকে কাজের ব্যবস্থা করে দেবে বলে তাকে এই ক্যানিং থানার তালদি এলাকায় একটি বাড়ীতে নিয়ে আসে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি। এখানে এনে গত পাঁচদিন যাবৎ আটকে রেখে তাকে বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ।
কয়েকদিন এখানে থাকার পর ওই কিশোরী বাড়ি ফিরতে চাইলে তাকে শনিবার বেধড়ক মারধর করে ও ধর্ষনের চেস্টা করে বলে অভিযোগ। কোনরকমে শনিবার রাত নটা নাগাদ সেখান থেকে পালিয়ে জনকল্যাণ মোড়ে এসে ওই কিশোরী স্থানীয় মানুষদের কাছে সাহায্য চাইলে তখনই স্থানীয় লোকজন ক্যানিং থানায় খবর দেন। খবর পেয়েই ক্যানিং থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন চিকিৎসার জন্য। অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি করছে ক্যানিং থানার পুলিশ।