যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নাবালিকা অবস্থায় কোন ছাত্রীর বিয়ে না দেবার জন্য নান ধরনের জনমূখী প্রকল্প গ্রহন করেছে। সেখানে দারিয়ে এখনও কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ের মত ঘটনা ঘটছে।,এমনি নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করলেন নাবালিকা ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার তৎপরতায়। ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফা নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিন তরঙ্গপুরের ভুইহারা গ্রামে। চাইল্ড লাইন,পুলিশ ও ব্লক অফিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর বড়াল হরলাল বালিকা উচ্চবিদ্যালের প্রধান শিক্ষিকা সোমা বাগচী সহ সমস্ত শিক্ষিকারা হাজির হয় ভুইহারা গ্রামে। এই গ্রামের এক স্কুল পড়ুয়া কিশোরের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া প্রেমে পাগল কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে ঘরে ফেরায় প্রশাসন ।
প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিক কিশোরের বাড়তে উঠেছিল বড়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর এক ছাত্রী। এই বাল্যবিবাহ আটকাতে প্রধান শিক্ষিকা চাইল্ড লাইনে যোগাযোগ করে। চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি বিপুল দাস তা জানিয়ে সাহায্য চায় কালিয়াগঞ্জ ব্লক ও পুলিশ প্রশাসনে। বিডিও তরফে ব্লকে নারী কল্যান ইনচার্য ঋতুমিতা রায় ও থানার তরফে এস আই মজলিস খানের নেতৃত্বে পুলিশ দল চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধির সাথে যায় ভুইহারা গ্রামে । পুলিশ প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়ে ভুইহারা গ্রামে যায় প্রধান শিক্ষিকার নেতৃত্বে অপর শিক্ষিকারা। এরপর কিশোরী সিদ্ধান্ত বদল করে। ১৮ বছর না হলে বিয়ে নয়।,সে কথা মেনে নিলে প্রশাসনের তরফে কিশোরীকে তার বাবা-মা হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষিকা সোমা বাগচী জানান, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কন্যাশ্রী,শিক্ষাশ্রী,সুবুজ সাথী সহ একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে ছাত্রীদের জন্য। কিছু অসাবধানতার কারনে নাবালিকাদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনি তার বিদ্যালয়ের ছাত্রী ভুল করতে চলেছে। তারা জানতে পেরে চাইল্ড লাইনের সাথে যোগাযোগ করেন, চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে ব্লক প্রশাসন ও থানার উপস্থিতিতে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে তার বাবা-মার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এবং তাদের জানানো হয় ১৮ বছর আগে তার বিয়ে না দেয় যেন।
এদিনে চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি বিপুল দাস জানান, কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর বড়াল হরলাল বালিকা উচ্চবিদ্যালের প্রধান শিক্ষিকা সোমা বাগচী তাদের জানান তার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে। তা জানতে পেরে পুলিশ প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসন ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে সাথে নিয়ে ভুইহারা গ্রামে যান যেখানে নাবালিকা আশ্রয় নিয়েছিল বিয়ের জন্য। সবার উপস্থিতিতে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে নাবালিকাকে তার বাবা-মার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের বলা হয় তাদের মেয়ের ১৮ বছরের আগে কোন ভাবেই বিয়ে দেওয়া যাবে না । তিনি আরো জানান যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রীদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিয়ে দেওয়া প্রযন্ত নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করছে , সেখানে দারিয়ে কিছু ভুলের জন্য নাবালিকাদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।