ঐতিহাসিক হুগলী মাদ্রাসা ও মসজিদ কয়েকবছর যাবত বন্ধের ফলে পশ্চিমবঙ্গ সহ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।আর সেজন্যই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে মুসলিম স্টুডেন্টস্ ফেডারেশন ও মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়ন। আজ হুগলি জেলাশাসক ও জেলা সংখ্যালঘু দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান ও মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশন ও মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল।
দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক এই মাদ্রাসা ও মসজিদের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা অধিকমাত্রায় বিশালাকায়।হুগলি মাদ্রাসার ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ ও পঠনপাঠন বন্ধের পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক, আবাসিক ছাত্রদের নামাজ পড়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশন ও মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল অনেকগুলি দাবিদাওয়াও পেশ করেন।তন্মধ্যে হুগলী মাদ্রাসা ভবনের মসজিদ নামাযীদের জন্য অবিলম্বে খুলে দিতে হবে, হুগলী মাদ্রাসা ও তৎসংলগ্ন মসজিদ বন্ধের পাশাপাশি কুচক্রীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি,ও কুচক্রীদের মাদ্রাসা সংলগ্ন জমি আগ্ৰাসন বন্ধ করতে হবে।
চুঁচূড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হুগলী মাদ্রাসা অবস্থিত।এর একেবারে সামনেই লঞ্চঘাট।হাওড়ার পরে গঙ্গার উপরে সবচেয়ে জনবহুল ঘাট এটি।এর চারপাশে হুগলী সদর দপ্তর, ট্রেজারি অফিস ,জেলাশাসক অফিস, সংখ্যালঘু অফিস, হুগলি ইমামাবাড়া,জেলা পরিষদ অফিস, আদালত এমনকি চুঁচূড়া মহাকুমা অফিস ও ব্লক অফিস।এককথায় শহরের কেন্দ্রস্থলে তার অবস্থান এলাকা ও বাইরের অসংখ্য ধর্মভীরু পথচারীদের আকৃষ্ট করে।এই মসজিদটি বন্ধের ঘটনাটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মৌলিক অধিকারের উপর প্রত্যক্ষ আক্রমণ রূপে পরিগণিত হচ্ছে।এছাড়াও এই ধরনের একটি পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্যের উপর অস্বাচ্ছন্দ্যতা তৈরী করেছে।যদিও প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তালতলা ক্যাম্পাসের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাহার মসজিদ খুলে আজান দিয়ে নামাজ পড়িয়েছেন।।স্থানীয় জনগণ এহেন কার্যকলাপকে স্বাগতম জানিয়েছেন।
হুগলি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও দানবীর হাজী মহম্মদ মহসিনের জন্মদিনেই উপস্থিত হন এই প্রতিনিধিদল।গঙ্গা তীরবর্তী হাজী মহসিন সাহেবের প্রতিষ্ঠিত ইমামবাড়া পরিদর্শন ও তাঁর মাজার জিয়ারত করেন এই প্রতিনিধিদল।প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন মুসলিম যুবলীগের সর্বভারতীয় সভাপতি সাবির এস গফফার,ছাত্রনেতা আব্দুল কাহার মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি মোহাম্মদ নুরুদ্দিন , মিজানুর হক, আহসানুল্লাহ মিদ্দে সহ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।