হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুরের বকপোতায় নতুন সেতু নির্মাণের দাবি তুলেছিলেন স্থানীয় মানুষেরা। দাবি মেনে তৎকালীন সরকার টাকাও বরাদ্দ করে। কিন্তু জমি সমস্যায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল সেতুর কাজ। অবশেষে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজার উদ্যোগে সব জটিলতা কাটিয়ে এলাকার মানুষের স্বপ্নের সেতুটির বাস্তবের মুখ দেখেন ২০১৬ সালে। জোরকদমে চলছে সেতু নির্মাণের কাজ।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে দুর্গাপুজোর পরেই চালু হয়ে যেতে পারে নতুন বকপোতার সেতু। সেতুটি নির্মাণের জন্য পূর্ত সড়ক দপ্তর ২৮ কোটি টাকা খরচ করেছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সেতুটি লম্বা প্রায় ৩০০ মিটার। সূত্রের খবর বকপোতার পুরানো সেতুটি প্রতিবছর বন্যার জলে ডুবে যায়। যার ফলে ২০১৪ সালের পুরানো সেতুটির একটি পিলারে ফাটল ধরে মাঝের অংশ সামান্য বসে যায়। ফলে ইঞ্জিনিয়াররা সেটিকে বিপদজনক ঘোষণা করে। ফলে প্রশাসন সেতুটির উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এমনকি কোনোরকম ঝুঁকি এড়াতে প্রশাসন সেতুর দুই প্রান্তে ইঁট দিয়ে ঘিরে মানুষ যাতায়াতের মত রাস্তা রাখে। ফলে সমস্যায় পড়েন হাওড়া ও হুগলি জেলার মানুষ।
উল্লেখ্য বকপোতার পুরনো সেতুটি তৈরি হওয়ার পর থেকে দুই জেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়। হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া ব্লকের মানুষেরা উদয়নারানপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে সহজে আসতে পারেন। কিন্তু বকপোতার সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা খুবই সমস্যায় পড়েন। ফলে নতুন সেতুটি তৈরিতে কার্যত কোমর বেঁধে নামেন বিধায়ক সমীর কুমার পাঁজা সহ হাওড়া ও হুগলি জেলা প্রশাসন। বর্তমানে পুরানো সেতুটি মেরামত করে সেখান থেকে যান চলাচল শুরু হয়।বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন পুরানো সেতুর থেকে নতুন সেতুটি অনেক উচ্চতা করা হয়েছে। ফলে বন্যা হলে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হবে না। নতুন সেতুটির সম্পন্ন হলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে দুই জেলার হাজার হাজার মানুষের। হাওড়া আমতা থেকে আক্তারুল খাঁন