হাওড়া জগৎ বল্লভপুরের মুন্সীহাট থেকে চলে গেছে ইছানগরী যাবার রাস্তা। হাওড়া জেলার শেষ প্রান্তে ইছানগরী তার পরই হুগলী জেলা। সংস্কারহীন রাস্তাটি পড়ে থাকার পরও সরকার সংস্কার করার উদ্যোগ না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটি একেবারে ভগ্ন দশা হয়ে পড়ে আছে। সংস্কার না করায় পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে খানা খন্দে ভরা কোথাও আবার হাঁটু সমান গর্ত।কোন মতে চলে বাইক, সাইকেল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায়। সন্ধ্যা নামলেই পথ চলা দায় হয়ে পড়ে পথচারীদের। বেশ কয়েকটি গ্ৰাম আছে মূলত এই রাস্তা দিয়ে তাদেরকে যাতায়াত করতে হয়। হাওড়া ও হুগলীর মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী এই রাস্তাটি। এই রাস্তা দিয়েই মুন্সিরহাট দিয়ে ফুরফুরা শরীফ পর্যন্ত ট্রেকার চলে। রাস্তার দুরাবস্থার কারনে ট্রেকারের সংখ্যাও কমে গেছে। যদিও চার পাঁচটি চলে সন্ধ্যা নামলে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
যাত্রী দুর্ভোগ বাড়ছে।এই রাস্তা দিয়ে কয়েকশো যাত্রী ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করে এই রুটে ট্রেকার ও মোটর ভ্যানই এক মাত্র ভরসা নৃত্য যাত্রীদের।ট্রেকারে বাদুড় ঝোলা হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করে নৃত্য যাত্রীরা।শিশু অন্তঃসত্ত্বা বয়স্কদের রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারেই অযোগ্য।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী জানান প্রশাসনের অধিকারিরা ঘটনা জানার সত্ত্বেও আজ অবধি সংস্কার করার উদ্যোগ নেই নি। সুকুমার দাস নামে এক নৃত্য যাত্রী জানান ট্রেকার ও মোটর ভ্যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ ভিষন বিপদে পড়বে।
রাস্তাটি দ্রুত সারাইয়ের দাবি তুলছেন জনগণ।এই রাস্তাটির জগৎবল্লভপুর-১ এবং শঙ্করহাটি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। রাস্তাটির গুরুত্ব এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন দুই পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা সাধুখাঁ এবং অনুপম ঘাটি। রাস্তাটি অনতিবিলম্বে সংস্কারের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন বলে তারা জানিয়েছেন। তৃণমূল নেতা মঞ্জু মুন্সি বলেন দ্রুত সংস্কারের জন্য বিষয়টি এলাকার বিধায়ক মোঃ আব্দুল গনি সাহেবের নজরে এনেছেন বলে জানিয়েছেন। প্রশাসনের ভরসায় দিন গুনছেন এলাকাবাসী। হাওড়া আমতা থেকে আক্তারুল খাঁন।