এক ফেরিওয়ালাকে গলা কেটে নৃশংস ভাবে খুনের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ শোনালো ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত। মঙ্গলবার বিচারক সুদেষ্ণা দে চ্যাটার্জি এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজা প্রাপ্ত বুদ্ধেশ্বর পালের বাড়ি বেলপাহাড়ির বনশোল গ্রামে। ১৫ সালের ৭ জুন ওই গ্রামে কাপড় জামা ফেরি করতে এসেছিলেন সেক নৌশাদ (৩০)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের তেঁতুলিয়া গ্রামে। অভিযোগ, বুদ্ধেশ্বর জিনিস কেনার সময় দরদাম শুরু করেন। এই নিয়ে নৌশাদের সঙ্গে তাঁর তুমুল বচসা শুরু হয়।
রাগের মাথায় ঘরের দাওয়ায় থাকা কাটারি তুলে নিয়ে নৌশা দের গলায় পর পর কোপ মেরে মুণ্ডু টি কেটে নিয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যান বুদ্ধেশ্বর। ওই রাতেই পুলিশ বুদ্ধেশ্বরকে কাটা মুণ্ডু ও কাটারি সমেত গ্রেফতার করে। সেই থেকে অভিযুক্ত জেলে ছিল। খুন ও প্রমাণ লোপাটের ধারায় বুদ্ধেশ্বরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয় ১০১৬ সালের মার্চে। ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করার পরে বিচারক বুদ্ধেশ্বর কে দোষী ঘোষণা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। সেই সঙ্গে আসামিকে খুনের দায়ে নগদ কুড়ি হাজার ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দু বছর কারা বাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই তথ্য জানান, সরকারি আইনজীবী সত্যজিৎ সিনহা।