চিকিৎসক ছাড়াই চলছে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল


মঙ্গলবার,৩১/০৭/২০১৮
1031

পিয়া গুপ্তা ,কালিয়াগঞ্জ ---

আছে বড়ো বড়ো বিল্ডিং,আছে বড় বড় করে গ্লোব সাইনবোর্ড ঝুলানো কিন্তু জন্মলগ্ন থেকেই ডাক্তারের বড্ড অভাব।এমনি দুর্দশায় ভুগছে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। চিকিৎসক ছাড়াই চলছে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল।উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যযের নির্দেশে বড়ো বড়ো সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল ,মেডিক্যাল কলেজের মতো বিশাল বিশাল হাসপাতালের ইমারত তৈরি হয়েছে । কিন্তু হাসপাতাল গুলোতে নেই কোন সুচিকিত্সা ব্যাবস্থা,নেই কোন চিকিত্সক বা নার্স।

জানা যায় স্বাস্থ্য দপ্তরের ২০০৯ সালের  লিখিত নির্দেশ অনুযায়ী কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যেখানে ২২জন চিকিৎসক থাকার কথা সেখানে এই স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসক আছেন হাতেগোনা মাত্র ৭জন চিকিৎসক। হাসপাতালের রোগীদের চাপে অতিষ্ট হয়ে সম্প্রতি চার জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাসপাতালের সুপার প্রকাশ রায়ের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন যা এক কথায় অভাবনীয় ঘটনা বলা যায়। কালিয়াগঞ্জ স্টেটজেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় বার বার করে হাসপাতালের এই অবস্থার কথা জানালেও জেলা অথবা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর কোন রকম ব্যবস্থা নেবার জন্য তাদের দৃষ্টি নেই।এই অবস্থায় হাসপাতাল চালানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয় বলে জানান।

এই স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যেখানে জেনারেল ফিজিসিয়ান থাকার কথা ৮-৯জন। সেখানে ১ জন জেনারেল ফিজিসিয়ান দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।এটা কি করে সম্ভব? যে হাসপাতালে মাসে গড়ে ৩০০টি করে ডেলিভারি কেস আসে,যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ আউটডোর পেশেন্ট আসে সেখানে এই পরিকাঠামো দিয়ে একটা হাসপাতালের কাজ কিভাবে চলতে পার?হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় কালিয়াগঞ্জের মত একটা গুরুত্বপূর্ন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ই.সি.জি হয়না,হয়না আই .সি .টি .সি।হাসপাতালে একটি ব্লাডস্টোরেজ ইউনিট থাকলেও তা বন্ধ হয়ে  আছে কর্মী ও একজন মেডিক্যাল অফিসারের জন্য।

কালিয়াগঞ্জ স্টেটজেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় এই  হাসতালের একজন  অভিজ্ঞ  চিকিৎসক   ডা :  ভুপেস   বর্মন  কে  জেলাস্বাস্থ্য  আধিকারিক হটাৎ করেই কুনোর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেবদলি করার ফলে আরো চরম অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।ডা বর্মনকে এই হাসপাতালে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা অবিলম্বে করা উচিৎ বলেই কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের কর্মী থেকে অধিকাংশ চিকিৎসকেরা মনেকরেন।গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে তার মত একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের এই হাসপাতালে থাকা এইএলাকার  স্বার্থেই অত্যন্ত জরুরী।কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের জনৈক চিকিৎসক  জানান এই হাসপাতালের একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক      ডা: ভুপেস চন্দ্  বর্মন কে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক হটাৎ করেই কুনোর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বদলি করার ফলে আরো চরম অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন ডা :বর্মনকে এই হাসপাতালে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা অবিলম্বে করা উচিৎ বলেই তারা মনে করেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন কালিয়াগঞ্জ রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক পাল স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এই অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলবার জন্য বার বার মিটিং করে জেলা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে চিকিৎসকের এই সমস্যা দূর করবার জন্য চেষ্টা করলেও এখন ও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।

কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির  চেয়ারম্যান তথা পৌরপতি কার্তিক পালএক প্রশ্নের উত্তরে বলেন কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক সমস্যা সম্পর্কে স্বাস্থ্য প্ৰতি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে  সমস্ত কিছু অবহিত করা হয়েছে।রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কার্তিক পাল আশ্বাস দিলেও কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রামের মানুসদের বক্তব্য থেকে জানা যায় অনেক দিন ধরেই এইগল্প শুনে আসছি আজ ও চিকিত্সা ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি ।সামান্য কিছু হলেই রোগীদের রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ।হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যাবে চিকিত্সক নেই, পর্যাপ্ত কর্মী নেই, নেই কোন সুচিকিত্সার ব্যাবস্থা । চিকিত্সা করাতে এসে তখন কার্যত শূন্য হাতে রোগীদের ফিরে যেতে হয়।   কিন্তু আজ ও টনক নড়েনি স্বাস্থ্য দফতরের। দিনে দিনে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা অথচ চিকিত্সক নেই হাসপাতালে। । কার্যত সব বিভাগে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিত্সক কম থাকায় রোগীদের ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে। সাধারণ মানুষের অফিযোগ, দুর্ঘটনাজনিত কোনও বড় অস্ত্রোপচার হোক বা কোনও বড় অসুখে আসা রোগী বা ডেলিভারি মহিলাদের সামান্য কিছুতেই রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে পারলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট