বাংলা সাহিত্যের সেই গুরু রমাপদ চৌধুরী চলে গেলেন


সোমবার,৩০/০৭/২০১৮
991

ফারুক আহমেদ---

বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য ও প্রখ্যাত তথা বিরল সুকথাসাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী চলে গেলেন। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন কবি সুবোধ সরকার “খুব বড় মাপের লেখক। ওদিকে জন্মালে মার্কেজের পাশের চেয়ারে বসতেন। লিখতেন কম। বছরে একটি উপন্যাস। কোন সাহিত্য সভায় যেতেন না। সভাপতি হতেন না। প্রধান অতিথি হতেন না। গল্ফ গ্রিনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি ৯১ বছর বয়েসেও সিগারেট খেতেন।

কী সব লেখা লিখেছেন। একখানা ‘খারিজ’ একখানা ‘বনপলাশীর পদাবলী’ একখানা ‘বাড়ি বদলে যায় ‘ লিখতে পারলে ইওরোপের লেখকদের আর মাটিতে পা পড়ে না। তিনি আমাদের নির্জন হেমিঙওয়ে। অথচ কী আশ্চর্য তিনি নিজেই বলেছেন তাঁর গদ্যে জীবনানন্দ আছেন। আনন্দবাজারে নীরেনদার ঘরে গেলে ওঁকে অবাক হয়ে দেখতাম। আমি প্রণাম করি তাঁর ডানহাতের পাঁচটা আঙুলকে এবং তাঁর অবিনশ্বর বাংলা ভাষাকে।
খিদিরপুর ছেড়ে একটা বড় জাহাজ চলে গেল।”

“স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন স্কুলের মাঠে চট ঘেরা সিনেমা হলে প্রথম দেখি ‘বনপলাশীর পদাবলী’ সিনেমা। বুঝতে পারিনি। কিন্তু কী একটা রেশ থেকে গিয়েছিল মনে। ‘উদাস বাউল নেই রে বাউল আর’, ‘আট্টা মা’, সুপ্রিয়া দেবীর মাছ হয়ে জলে সাঁতার আর সেই বিখ্যাত গান ‘দেখুক পাড়া পড়শিতে কেমন মাছ গেঁথেছি বড়শিতে’… একটা ঘোর তৈরি হয়েছিল মনের মধ্যে সেই বয়সেই। বড়ো হয়ে তাই বার বার দেখেছি। প্রান্তিক জীবনের টানাপোড়েন, ভালোবাসা আর কেউ এমন তুলিতে আঁকতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। সম্পাদক হিসেবে দেশ পত্রিকাকে আলাদা উচ্চতায় দাঁড় করিয়ে ছিলেন তিনি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট