জুম্বার নামাজে যাওয়ায় হেড মাষ্টার সহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ


শনিবার,২৮/০৭/২০১৮
766

কাজী হাফিজুল---

আহত শিক্ষকের নাম মকলুর রহমান,শুক্রবার জুম্বার নামাজ পড়তে যায় মসজিদে, নামাজ পড়ে আসার পর স্কুলের শিক্ষকরা মিটিং করার নাম করে ওনাকে ডেকে অফিস রুমের মধ্যে কথা বলতে বলতে মারতে থাকে, ওই স্কুলের  তিন জন শিক্ষক কৃষিবিদ্যার শিক্ষক মকলুর রহমানকে বেধড়ক মারধোর করেন অভিযোগ। এমন কি মারতে মারতে শুয়ে ফেলে তাও মার বন্ধ করলনা, এমত অবস্থায় “রহমান বাবু” অঙ্গান হয়ে পড়ায় মুখে পানি ছিটিয়ে চেতনায় এনে আবার মার শুরু করে । ওই অফিসে উপস্থিত থাকা এক মহিলা শিক্ষিকা অনাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে ও কোন লাভ হয়নি । শিক্ষিকা শেষে কেঁদে ফেললেন। ওখানে থাকা স্কুলের ছোটো ছোটো ছেলেরা ছাড়ানোর চেষ্টা করে, তাদের তিন শিক্ষক তাড়িযে দেয় । শেষে ছাড়াতে না পেরে একাদশ ও দ্বাদশ ক্লাসের ছেলেদের কাছে ছুটে যায়। ওই দুই ক্লাসের ছেলেরা এসে রহমান বাবুকে মৃত্যু স্থান থেকে উধার করে নিয়ে যায় বাসন্তী হাসপাতালে , হাসপাতালে ডাক্তর দেখে পাঠিয়ে দেয় ক্যানিং হাসপাতালে, সেখানকার অবস্থা ভালো না হওয়ায় পাঠিয়ে দেয় কলকাতা হাসপাতালে। বর্তমানে রহমান বাবু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছে ।

তার পর ধীরে ধীরে সংবাদ পৌঁছে যায় অভিবাকদের কাছে, তারা ঘটনা শুনে ছুটে আসে হাইস্কুলে । তারা রাগ্নিত হয়ে মারতে যায় শিক্ষকদের । সেই মুহূর্তে বাসন্তী থানা থেকে পুলিশ আসে, পুলিশ এসেও জন সাধারণের সামাল দিতে পারলনা, ওই শিক্ষকদের আটকে রাখা হয় অফিস রুমে। সর্ব শেষে রাত ৭ টায় সময় বাসন্তী থানা থাকে প্রচুর বাহিনী নিয়ে ওই শিক্ষকদের নিয়ে যায় পুলিশ ।

ছাত্র মকলেবুর হেড শিক্ষক অনুমতি নিয়ে স্কুল টিফিনে ছুটি দেয়,এরফলে তাঁকে মারধর করা হয়।অন্য শিক্ষক দের কাছে কম খেসারত দিতে হয় নি।
এলাকাবাসীর দাবী,”যে সব শিক্ষকরা এমন অ-মানসিক কাজ করেছে তাদেরকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করতে হবে এবং সাজা দিতে হবে ।
নইলে তাঁরা রাজ্যে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবে।”

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট