তেলেভাজা,মশলামুডি, ফল,কাটা মাছ ,মাংস থেকে মিষ্টি সব কিছুতেই দেদার ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ।আর এই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের যথেচ্ছো ব্যবহারের জেরে শহরের রাস্তা জুড়ে যত্রতত্র পড়ে আছে ক্যারিব্যাগের স্তূপ । এমন অবস্থায় কালিয়াগঞ্জ হাট বাজার গুলিতে ।কিছুদিন আগেই কালিয়াগঞ্জের “নদী বাঁচাও ও পরিবেশ বাঁচাও কমেটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে প্লাস্টিকের ব্যবহারের ক্ষতির দিক তুলে ধরার পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ শহরে প্লাস্টিকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ছিলো কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল।তার পরেও পৌরসভার নিষেধাজ্ঞা কে তোয়াক্কা না করেই জোর কদমে বাজার গুলিতে ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ।
কালিয়াগঞ্জের হাট বাজার সর্বত্র ই ক্রেতাদের হাতে প্লাস্টিকের আলাদা আলাদা ক্যারিব্যাগ তা তুলে দিচ্ছেন দোকানিরা।মাছ,মাংস ,ডিম,সবজি যাই হোক না কেন চালু সমাধান সেই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ।অথচ 40 মাইক্রনের চেয়ে পাতলা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার ,মজুত এবং বিক্রি করা আইনত অপরাধ।তবুও আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেআইনি ভাবে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ তৈরির কারখানাও রমরমিয়ে চললেও আশ্চর্যজনক ভাবে সব কিছু জেনেও কোন ব্যবস্থায় গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না ব্লক প্রশাসন ও কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা।কালিয়াগঞ্জের পরিবেশ প্রেমীমানুষদের দাবী 40 মাইক্রনের কম পুরু
প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বছরের পর বছর মাটিতে পড়ে থাকলেও তা নষ্ট হয় না।যার ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে প্লাস্টিক ক্যারিবাগের সংস্পর্শে থাকা মাটিও দিন দিন দূষিত হতে থাকে ।ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় ।ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নর্দমাতা জমা হয়ে জল নিকাশি ব্যাবস্থায বিঘ্ন ঘটায় ।
দোকানিদের কাছে নিষেধাজ্ঞ এই প্লাসটিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহারে সমস্যার কথা তুলে ধরতেই আশোক গুপ্তা নামে এক সব্জি ব্যবসায়ীর সাফ কথা
হাতেগোনা কেউ কেউ বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগে নয়, আমার ব্যাগেই দিন। কিন্তু ধরুন, অনেকেই পাঁচ রকম সব্জি কিনলে পাঁচটা আলাদা ক্যারিব্যাগে সেগুলি ভরে একটা বড় পলিথিনের প্যাকেটে দিতে বলেন। আমরাও দিতে বাধ্য হই। আমি না-দিলে অন্য দোকান দিয়ে দেবে।
সায় দিয়ে পাশের দোকানি বিমল মাহাতো জানালেন, জিনিসের পরিমাণ বেশি হলে কাগজের ঠোঙা ছিঁড়ে যায়। তবে, ক্রেতারা নাছোড়বান্দা হলে আমাদের কিছু করার থাকে না। মাছ, মাংসের দোকানিদের বক্তব্য অবশ্য আলাদা। সুরজিৎ মন্ডল কিংবা শম্ভু দাশের মতো মাছ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, মাছ বা মাংস প্লাস্টিকের প্যাকেটে না-দিলে ক্রেতারা নিতেই চান না। তাই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে হলে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
প্লাসটিক ক্যারিব্যাগ বন্ধের ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনিল সাহা জানান প্লাসটিক ক্যারিব্যাগ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে কালিয়াগঞ্জের সকল ব্যবসায়ী ও প্রশাসন সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।সকলে এগিয়ে না এলে এই প্লাস্টিক ব্যবহার চলতেই থাকবে।এছাড়া
বেআইনি প্লাস্টিক কারখানা গুলোতেও পুলিশের অভিযান চালাতে হবে। তবেই ভবিষ্যতে ভয়ানক বিপদের মুখোমুখি পড়তে হবে না।