উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের আনাউনের হিমানি বর্মনের আজ কয়েক বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে দিনের পর দিন আক্রান্ত হয়ে অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়াই করছেন ।বর্তমান দেখার কেউ নেই। তাই তার আবেদন সেই বাঁচতে চায়। কোন সহৃদয় ব্যাক্তি এগিয়ে আসুক তাকে বাচাতে। তবে এলাকায় দুটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা চাঁদা তুলে চেষ্টা করে যাচ্ছেন হিমানির চিকিৎসা কিছুটা অর্থ জোগার করতে।
একচিলতে মাটির ঘড়ে বসেই একদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের আনাউনের হিমানি বর্মন স্বপ্ন দেখেছিলেন যে আর পাঁচ জনের মতো করে স্বামী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার করবেন ।কিন্তু অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী । সেই সংসার স্বপ্ন যে বাস্তবায়িত হয় না তা আবারো প্রমান করল হিমানী বর্মনের জীবনে কাহিনীতে। এলাকায় কাজ না থাকায় জন্য আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে দিল্লী গিয়েছিলেন স্বামী রুপ কান্ত বর্মন। কিন্তু দিল্লী যাওয়ার পর থেকে আর কোন খোঁজ নেই স্বামীর। জানান যায় হিমানী বর্মনের পাঁচ ছেলে মেয়ে। এর মধ্যে তার এক ছেলে কুকুড়ের কামড়ে মারা যায় ও এক মেয়ের বিয়ের পড় শ্বশুর বাড়িতে অগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়। একদিকে স্বামীর নিরুদ্দেশ অন্যদিকে ছেলে মেয়ের মৃত্যু হিমানীকে আরো গভীর খতের দিকে ঠেলে দেয়। তবুও বাধ ভাঙ্গা পরিশ্রম করে লোকের বাড়ি কাজ করে এতদিন কোন ক্রমে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থায় হিমানী তার সংসার চালাতো তার এক মেয়ের কাছে নিয়ে । তার মধ্যেই লড়াই করে তার ছোট মেয়ের পড়াশুনার টাও চালিয়ে গেছেন তিনি। বর্তমানে তার ছোট মেয়ে ববিতা বর্মন ক্লাস নবম শ্রেনীর ছাত্রী । বাধ্য হয়ে তার ছোট ছেলে অল্প বয়সে মুম্বাই এ শ্রমিকের কাজে যায়। এর আগে একবার হিমানির পেটে টিউমার হলে কোনক্রমে এলাকার বাসিন্দারা কিছু চাঁদা তুলে সেইবার রায়গঞ্জে গিয়ে অপারেশন করে আনলেও আবার প্রচন্ড পেটের ব্যাথা নিয়ে ভিষন অসুস্থ্য হিমানী দেবী। সে এক প্রকার বিছানায় শয্যাশয়ী ।
এখন হিমানী দেবী চায় বাচতে তার ছেলে মেয়ের জন্য ।তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হোক। কিন্তু উপায় নায় মাঝে রয়েছে অর্থনৈতিক অনটন। তার এই করুন আর্ত্নাদে সারা দিয়ে এলাকার দুটি স্বনির্ভর দল এগিয়ে এসেছে। মহিলারা একত্রিত হয়ে বাড়ি বাড়ি এই দোয়ারের ওই দোয়ারের গিয়ে হীমানি দেবীর চিকিৎসার জন্য চাঁদা তুলে বেড়াচ্ছেন। যাতে হীমানি দেবীকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ্য করা যায়। কিন্তু আশ্চার্য জনক ভাবে এলাকার জন প্রতিনিধিদের সময় নেই একবারো তার বাড়ি গিয়ে তাকে দেখে ।